ঘূর্ণিঝড় হামুন: একদিন পর সচল বন্দর কার্যক্রম, জেটিতে ফেরত আনা হয়েছে জাহাজ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বিপদ সংকেত কমে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পুনরায় ফেরত আনা হয়েছে বাণিজ্যিক জাহাজ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালের জোয়ারে গভীর সমুদ্র থেকে ১৩টি জাহাজ জেটিতে ভিড়ানো হয়।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করলে মঙ্গলবার বিকেলে জেটি থেকে ২২টি জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব জাহাজে পণ্য উঠানামা বন্ধ করে দিয়েছিলো বন্দর।
এছাড়া বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত ৬৬টি বাল্ক ক্যারিয়ারকেও (খোলা পণ্যবাহী জাহাজ) গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থানরত লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় পাঠানো হয়েছিলো।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক টিবিএসকে বলেন, "আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণা করায় ফেরত পাঠানো জাহাজ জেটিতে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার সকালের জোয়ারের সময় ১৩ টি জাহাজ ফেরত আনা হয়। এসব জাহাজে শুরু হয়েছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। বাকি জাহাজগুলোও বিকেলে জোয়ারে ফেরত আনা হবে।"
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভবে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ডেলিভারি কার্যক্রম চলমান ছিলো।
বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল টিবিএসকে জানিয়েছেন , মঙ্গলবার সকালে বিপদ সংকেত ৭ ঘোষণার পরপরই মাদার ভেসেল থেকে লাইটার ভেসেলে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ১ দিন পর বুধবার সকাল থেকে বহির্নোঙ্গরে পুরোদমে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।