ছফা পাঠপূর্বক যুদ্ধ, মারী ও মানুষ
"ব্যক্তি মানুষের দুঃখ আছে, ক্লান্তি আছে, পরাজয় আছে, মৃত্যু আছে,কিন্তু মানবজাতির দুঃখ নেই, ক্লান্তি নেই, পরাজয় নেই, মৃত্যু নেই।" আহমদ ছফার এই দার্শনিক মন্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা যুদ্ধ পেরিয়ে এসেছি, মন্বন্তর পেরিয়ে এসেছি, মহামারীও পেরিয়ে এসেছি, এখনো পেরুচ্ছি, ব্যক্তির বিয়োগ আছে, ব্যক্তির প্রয়াণ ঘটছে প্রতিনিয়ত, ধনী-গরীব নির্বিশেষে, কিন্তু মানবজাতি ঠিকই টিকে আছে, টিকে থাকবেও, মানুষের শরীরের প্রাকৃতিক গুণাবলী, মনের আত্মপ্রত্যয় আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জোরে। কিন্তু তাই বলে কি মানবজাতি ইতিহাস থেকে কোন শিক্ষাই গ্রহণ করবে না? মনুষ্য প্রজাতি কেন নিজেদের জীবনদানের চেয়ে জীবন কেড়ে নেয়ার পেছনে এতো সময় ও অর্থ ব্যয় করছে তবে?
আহমদ ছফা বলছেন,"বিজ্ঞান এবং কারিগরিবিদ্যায় উন্নত জাতিসমূহের সঙ্গে সঙ্গে জাগরণশীল জাতিগুলোও প্রতিরক্ষার ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে, জনসংখ্যার একাংশকে উপোস রেখে অস্ত্র ক্রয় করছে।…জাতিকে উপোস রেখে, হিংসা-প্রতিহিংসার ওমে তা দেয়া যে বোমাগুলো কোটি কোটি মুদ্রা ব্যয় করে তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলোর কি ব্যবহার হবে না? যদি না হয়, অপর্যাপ্ত অর্থ এবং মানুষের এযাবৎকালের বস্তুবীক্ষণের সবচাইতে সূক্ষ্ম সিদ্ধি যাতে মিশেছে সে মহামূল্য পারমাণবিক বোমা ইত্যাদি দিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রনায়কেরা কি ব্রেকফাস্ট করবেন?"
আহমদ ছফার এই প্রশ্ন আমাদের মনে করিয়ে দেয় অ্যালেন গিন্সবার্গের কথা, মনে করিয়ে দেয় গ্রেগরি পেক ও আভা গার্ডনার অভিনীত এক চলচ্চিত্রের কথা।গিন্সবার্গের পারমাণবিক বোমা সম্পর্কিত কবিতাটি আশা করি সকলেরই পড়া, তবে স্ট্যানলিক্র্যামার পরিচালিত কল্পবৈজ্ঞানিক ছবি 'অন দ্য বিচ'ছবিটি অনেকে নাও দেখে থাকতে পারেন।উল্লিখিত প্রশ্নটি আহমদ ছফা উত্থাপন করেছিলেন ১৯৬৭ সালে। আর তার আটবছর আগে, ১৯৫৯ সালে হলিউডে মুক্তি পায়'অন দ্য বিচ'। 'প্রলয়-পরবর্তী' ঘরানার ঐ ছবিতে দেখা যায়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পারমাণবিক বোমা ও অস্ত্রের ব্যবহারে বাতাস এতোটাই বিষাক্ত হয়ে পড়েছে যে, মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে প্রায়। শুধু বেঁচে আছে অস্ট্রেলিয়ার একটি অঞ্চলের কিছু মানুষ, আর ডুবোজাহাজের ভেতর থাকা কয়েকজন মার্কিন নাবিক। বাতাসে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে তারাও প্রহর গুনছে শেষ পরণতির।যে কারণে এই ছবির প্রসঙ্গ টানা, তা হলো ছবির শেষ দৃশ্যে জনশূন্য এক জমায়েত স্থানে ঝুলে থাকা ব্যানারের কথাগুলো যেন আহমদ ছফার মতোই আহ্বান করছে মানবজাতিকে। সেখানে লেখা ছিলো: "There is still time...Brother"।
এখনো সময় আছে, ভ্রাতা; এমন বার্তা বহু যুগ ধরেই ধ্বনিত হচ্ছে, কিন্তু কে শোনে কার কথা। এই মারীকালে যখন লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে, তখন সেই পুরনো প্রসঙ্গ আবারো আসছে সামনে, মানুষ মারার যুদ্ধে মানুষ যতোটা আগ্রহী, মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধে ততোটা নয়। 'প্যানডেমিক' বইতে যেমন স্লাভোয় জিজেক বলছেন, যুদ্ধকালে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অস্ত্র তৈরির মতোই এখন উচিত উন্নত দেশগুলোর শ্বাসযন্ত্র নির্মাণ করা। আরো উচিত, দেশ ও জাতির বিভেদ ভুলে বৈশ্বিকভাবে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও চিকিৎসার সমন্বয় সাধন করা, যাতে এই নয়া করোনা মহামারী ঠেকানো যায়। এই ঔচিত্যবোধ কজনের ভেতর উদয় হয়েছে? তাছাড়া দার্শনিকের কাছ থেকে রাষ্ট্রনায়কেরা শিক্ষা নেবেনই বা কেন?
অন্যদিকে যুদ্ধের সপক্ষে যুক্তি তো আছেই, নিপীড়িত মানুষের যুদ্ধ করতে হয় জালিমের বিরুদ্ধে, কিংবা রাষ্ট্রনায়ক বা নায়িকারা হয়তো বলবেন, নিজেদের জনগণের সুরক্ষার জন্যই যুদ্ধ প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন, সে কারণে দরকার বিপুল অর্থ বরাদ্দ। আহমদ ছফা একে 'কল্যাণবোধে'র সাথে মিলিয়ে দেখেছেন। তবে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই কল্যাণবোধ সামগ্রিক নয়, এই কল্যাণবোধ অপরকে যুক্ত করতে অপরাগ, এই কল্যাণবোধ স্বার্থপরতার মোড়কে মোড়ানো। তিনি বলছেন, "স্বভাবতই মানুষ কল্যাণ চায়। অপরের কল্যাণ চাইবার মত উদারতা এবং দূরদৃষ্টি অনেকের নেই, একথা সত্য। কিন্তু মানুষ নিজের কল্যাণ, নিজের দেশের, নিজের জাতির, নিজের দলের কল্যাণ অবশ্যই চায়। এমনকি যুদ্ধ করার পেছনেও থাকে মানুষের আত্মকল্যাণবোধ। এ আত্মকল্যাণবোধের তাড়নায় জাতিসমূহ সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করেছে, জনসংখ্যার একাংশকে উপোস রেখে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে। অতীতে জাতিসমূহ উৎকট আত্মকল্যাণবোধের তাগিদেই যুদ্ধ করেছে এবং বর্তমানেও সে একই বোধের উগ্র উন্মাদনায় যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। যুদ্ধের ইতিহাস মানুষের খণ্ডিত কল্যাণবোধের ইতিহাস। আদিতে গোত্রদেবতাদের নামে, একটানা মানুষে মানুষে সংঘাত চলেই আসছে। অতীত ইতিহাসের রক্তমাখা অধ্যায়গুলোর দিকে তাকালে মানুষের ভেদবুদ্ধিজনিত অজ্ঞতা স্পষ্টতই চোখে পড়ে।"
আমরা কে না জানি গেওর্গ হেগেলের সেই অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন উক্তিটির কথা: আমরা ইতিহাস থেকে এটাই জানতে পেরেছি, ইতিহাস থেকে কেউ শেখে না। আর এই কারণেই ক্যাসান্ড্রা কূটের শিকার হন দার্শনিক, লেখক থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী ও এমনকি চলচ্চিত্র নির্মাতারাও। তাদের প্রজ্ঞা দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা বিশ্বাস করে না। বা বলা ভালো পাত্তাই দেন না। তাই তো কল্যাণ বা আত্মকল্যাণ দূরে থাক, এই মহামারীর মৃত্যুর ভেতরেও ভূমি দখলের লড়াই দেখি লাদাখ ও সিকিমের কাছে ভারত ও চীনের ভেতর।
অবশ্য জাতিতে জাতিতে দ্বন্দ্ব ও মারামারির বাইরে অন্য ইতিহাসও রয়েছে। আহমদ ছফা সেই দিকটা বিস্মৃত হননি। তিনি বলেন, "মানুষের ইতিহাসের আরো একটি দিক আছে, সে হল—জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিল্প, কলা এবং দর্শনের দিক। এতে কোন জাতির সিলমোহর নেই। এক জাতির সুচেতনার সঙ্গে মিশেছে আরেক জাতির নির্মাণবুদ্ধি, কলার সঙ্গে দর্শন, এ দেশের বিজ্ঞান ও দেশে গিয়ে তরঙ্গ তুলেছে। সামগ্রিকভাবে মানুষের সৃষ্টিশীলতার বিচিত্র সংক্রমণেই সভ্যতা ষোলকলায় পুষ্টি লাভ করেছে। মৈত্রীভাবনা মানুষে মানুষে সহযোগিতার পথ প্রসারিত করেছে, এক জাতির চিন্তার অভিঘাতে আরেক জাতির কুসংস্কার ঝরাপাতার মত ঝরে পড়েছে।…বুদ্ধির সহযোগিতায় আধুনিক দর্শন এবং বস্তুবিজ্ঞানের সহযোগিতায় আধুনিক বিশ্বদৃষ্টি বিকশিত হয়েছে।"
আর এখানেইআমরা আশাবাদী। নৈরাশ্যের মেঘ সরিয়ে আমরা এই মৈত্রীভাবনার জাগরণের মধ্য দিয়েই আজ দেখতে চাই গোটা মানবজাতি মহামারীর বিরুদ্ধে মানুষকে জীবনদানের যুদ্ধে জয়ী হচ্ছে। জীবনদায়ী আবিষ্কার কোন জাতির একক সম্পত্তি হতে পারে না, যদিও আমরা দেখেছি যে কোন মূল্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাই করোনার প্রতিষেধক আগেভাগে পেতেচেয়েছিলেন জার্মানির কাছ থেকে। এমনকি চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে বলে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যেভাবে তাচ্ছিল্য ও হুমকি দিয়ে গেছেন, তাতে বোঝা যায়, এই সঙ্কটে তিনি অন্যের ঘাড়েই দোষ চাপাতে বেশি পারদর্শী। শুধু সংস্থাটি নয়, ঢালাওভাবে তিনি চীনকেও দোষারোপ করে গেছেন। অথচ তার দেশেই করোনার কারণে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ মারা গেছে, এর কোন সুরাহা তিনি করতে পারেননি।
রাষ্ট্রপ্রধানদের এই যে আচরণ তাতো নতুন কিছু নয়, একে সঠিকভাবে অনুধাবন করা সম্ভব তখনই, যখন কেউ মানুষ ও মানবজাতিকে গভীর দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। আহমদ ছফার কথাগুলো এবার একটু মিলিয়ে নেয়া যাক। তিনি বলছেন, "যখনই দেশে তেমন কোন পরিস্থিতি দেখা দেয়, সঙ্গে সঙ্গেই বিদেশি শত্রুর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে, দেশপ্রেম, জাতিপ্রেম, ধর্মপ্রেম ইত্যাদির নামে পত্রিকা, রেডিও টেলিভিশন এসবের মাধ্যমে অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে বিজাতি বিদেশির বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান চালিয়ে জনসাধারণের মন এমনভাবে বিষিয়ে দেয় যে, জাতিতে জাতিতে সহযোগিতার কথা বলে যারা, তাদেরকে অতি সহজে দেশদ্রোহী, জাতিদ্রোহী এবং ধর্মদ্রোহী বলে চিহ্নিত করতে ক্ষমতাসীন দলের বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয় না।"এ সত্য কেবল বর্ণবাদে জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র নয়, চীনের বেলাতেও খাটে। তারাও মহামারী চলাকালে আঙুল তুলেছেযুক্তরাষ্ট্রের দিকে, যদিও মহামারীর উৎসমুখ ছিলো তাদের দেশেই। দুজনের দোষারোপ যদি আমলে নেয়া হয়, তাহলে তৃতীয় আরেক সত্য দিগম্বর হয়ে পড়ে, সেটি হলো এই নয়া করোনা প্রাকৃতিক কোন ব্যাপার নয়, এটি সৃষ্টির সেরাজীব মানুষেরই তৈরি!
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এমন শঙ্কার কথা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন জাক লাকাঁ। এই শঙ্কা অবশ্য শুদ্ধ তাঁর নয়, ছিলো বিজ্ঞানীদেরও। গবেষণাগারে প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বিজ্ঞানীরা কত চমৎকার কাজই না করে থাকেন। কিন্তু ভুলক্রমে সেই ব্যাকটেরিয়া যদি গবেষণাগারের বাইরে চলে আসে, তখন কি হবে! লাকাঁ বলছেন, সেই সত্তরের দশকে, যাক এখনো এমন ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু এটা ভাবনার ভেতর ঢুকে গেছে যে এমন ব্যাকটেরিয়া তৈরি করা সম্ভব, যা ঠেকানো অসম্ভব প্রায় এবং যা দিয়ে দুনিয়ার বুক থেকে আজেবাজে সব জিনিস, বিশেষ করে মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায়। লাকাঁর এই বক্তব্যের খোঁজ দিয়েছিলেন সলিমুল্লাহ খান।
আমার ধারণা এমন ব্ক্তব্য, বা বলা ভালো শঙ্কার কথা খুঁজলে আরো অনেকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে, মনে হতে পারে অগ্রিম আশঙ্কার কথা বলে যাওয়া এই মানুষেরা একেকজন মিশেল দ্য নোস্ত্রোদাম, প্রকৃত ঘটনা হলো ভাববাদী বা বস্তুবাদী কেউই সেসব কথা শোনেনি, আর ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার তো প্রশ্নই আসে না, তাই বারবার আমরা যুদ্ধে লিপ্ত হই, প্রাণ হারাই, হাহুতাশ করি, চক্রাকারে আমরা মহামারীর কবলে পড়ি, প্রাণ হারাই, সেই হাহুতাশই করি। তবে এমন নয় যে মানবজাতির সকলেই এমন শুধুহতাশা ব্যক্ত করে এবং পরবর্তীকালে অন্য জিনিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ব্যতিক্রমী উদাহরণ আছে। গোটা ভারতের দৃশ্য এক , আর শুধু কেরালার দৃশ্য আরেক। কাজেই মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ! অন্তত পাপ না হলেও, পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেললে তো আর দাঁড়ানোর জায়গা অবশিষ্ট থাকে না। শুরুতে যা বলছিলাম, একক মানুষ ভঙ্গুর হতে পারে, দুর্বল হতে পারে, কিন্তু সমষ্টিগতভাবে মানুষ লড়াকু।
মানবজাতির টিকে থাকার লড়াই সংক্রান্ত আহমদ ছফার উদ্ধৃতিদিয়েই এই আলাপে ইতি টানছি, তিনি বলছেন, "মানুষ জন্ম-মৃত্যু, ক্ষুধা-তৃষ্ণা, রোগ-যন্ত্রণা এবং হতাশার শিকার। ব্যক্তি মানুষ মরণশীল। অভাব তাকে দগ্ধ করে, বেদনা তাকে কুরে কুরে খায়। নিষ্ঠুর পারিপার্শ্বিকতা সমস্ত ক্ষমতা হরণ করে। এগুলো অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে যেমন, মানুষের বেলায়ও তেমনি নিষ্ঠুর সত্য। নিষ্ঠুর সত্য, কিন্তু শেষ সত্য নয়। মানুষ সম্পর্কে শেষ সত্য হল—মানুষ সবকিছুকে অতিক্রম করার, সমস্ত জড় জগতের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করার সংগ্রাম সে চালিয়ে যাবে।"
অতয়েব, এই সংগ্রামে শেষতক আমরাই জয়ী হবো সন্দেহ নেই, তবে কতটুকু বিসর্জনের পর, সেটাই দেখার বিষয়।
দোহাই
১. আহমদ ছফা, মূলত মানুষ (১৯৮৯), আহমদ ছফা উত্তর খণ্ড, নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত (ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০১১)।
২. আহমদ ছফা, ভবিষ্যতের ভাবনা (১৯৬৭), আহমদ ছফা রচনাবলী: প্রথম খণ্ড,নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত, দ্বিতীয় মুদ্রণ (ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০১১)।
৩. জাক লাকাঁ, দ্য ট্রায়াম্প অব রেলিজিয়ন প্রিসিডেড বাই ডিসকোর্স টু ক্যাথোলিকস, ব্রুস ফিঙ্ক অনূদিত (ক্যামব্রিজ: পলিটি প্রেস, ২০১৩)।
৪. স্লাভোয় জিজেক, প্যানডেমিক: কোভিড-নাইনটিন শেকস দ্য ওয়ার্ল্ড (নিউ ইয়র্ক: অর বুকস, ২০২০)।