মেজর লিগ ক্রিকেট অভিষেকে খরুচে সাকিব
ব্যাট হাতে ছন্দময় সাকিব আল হাসানের দেখা মিললো না। ব্যাটের কানায় লেগে দুটি চার পাওয়ার পর আরও একটি চার মারলেও তার ইনিংসটা বড় হলো না। পরে বল হাতেও অনুজ্জ্বল থেকে গেলেন, একটি উইকেট নিলেও অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার করলেন খরুচে বোলিং। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিবের।
বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের বিবর্ণ থাকার দিনে তার দল লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্স অবশ্য জিতেছে। টেক্সাস সুপার কিংসকে ১২ রানে হারিয়েছে তারা। শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে উন্মুক্ত চাঁদের ৬৮ রানের পর ছোট ছোট কয়েকটি ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৬২ রান তোলে রাইট রাইডার্স। জবাবে ম্যাচসেরা আলী খান, স্পেন্সার জনসনদের বোলিং তোপের মুখে ৮ উইকেটে ১৫০ রানে থামে টেক্সাস সুপার কিংস।
নাইট রাইডার্সের ১৬২ রানের ইনিংসে সাকিবের অবদান ১৮ রান। স্কোরকার্ড দেখলে মনে হতে পারে শুরুটা ভালোই করেছিলেন তিনি। ১৩ বলে ৩টি চারে ১৮, স্ট্রাইক রেটও মন্দ নয়; ১৩৮.৪৬। কিন্তু সাকিবের নামের পাশে যে তিনটি চার, এর দুটিই আসে ব্যাটের কানায় লেগে। শেষ পর্যন্ত অ্যারন হার্ডির বলে ফাফ ডু প্লেসির হাতে ধরা পড়েন তিনি।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ব্যাটে-বলে অনেক কীর্তি গড়েছেন সাকিব। জাতীয় দলে বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বিভিন্ন দলে রেখেছেন অবদান। ব্যাটিং অথবা বোলিং; বেশিরভাগ সময়ে যেকোনো একটিতে পারফর্ম করেছেনই তিনি। কোনোটিতেই কিছু করতে পারেননি, এমন ম্যাচ কমই গেছে তার ক্যারিয়ারে।
বিশেষ করে বল হাতে সব সময়ই ধারাবাহিক সাকিব, এটাই তার মূল শক্তির জায়গা। কিন্তু ব্যাট হাতে দীর্ঘদিন নিজের ছায়া হয়ে থাকা এই অলরাউন্ডার বল হাতেও অচেনা। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব ম্যাচে তাকে দিয়ে ৪ ওভার বোলিং করানো হয়নি, সাত ম্যাচে তার শিকার কেবল ৩ উইকেট। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই থাকেন উইকেটশূন্য। নেপালের বিপক্ষে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব পরে সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে পান একটি উইকেট।
মেজর লিগেও বল হাতে কঠিন সময়ই দেখতে হলো সাকিবকে। তাকে দিয়ে ৪ ওভার করাননি নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক সুনীল নারাইন। ৩ ওভারে ৩২ রান খরচায় একটি উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম ওভারে ১০ রান দেন সাকিব, যদিও কোনো বাউন্ডারি হজম করতে হয়নি তাকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে একটি ছক্কাসহ ৮ রান খরচায় নেন অ্যারন হার্ডির উইকেট। নিজের করা শেষ ওভারে একটি ছক্কা ও চারসহ সাকিব খরচা করেন ১৪ রান।