এবার ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই বিবর্ণ সাকিব
মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) অভিষেকে খুব একটা ভালো সময় যায়নি সাকিব আল হাসানের। তবু ব্যাটিং-বোলিংয়ে অবদান রেখেছিলেন। খরুচে বোলিং করলেও নেন একটি উইকেট, ব্যাট হাতে ১৩ বলে করেন ১৮ রান। পরের ম্যাচে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৫ রান। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে ব্যাটিং-বোলিং; দুটিতেই বিবর্ণ থেকে গেলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
সাকিবের নিষ্প্রভ থাকার দিনে হেরেছে তার দল লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সও। লড়াকু পুঁজি গড়ার পরও তাদেরকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সিটল অর্কাস। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারালেও সেঞ্চুরিয়ান রায়ান রিকেলটন ও কুইন্টন ডি ককের হাফ সেঞ্চুরিতে বড় জয় তুলে নেয় দলটি।
আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচে চার নম্বরে নামেন সাকিব। প্রথম চার বলের মধ্যে একটি চার মারলেও থিতু হতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৭ বলে ৭ রান করে যুক্তরাষ্ট্রের বাঁহাতি স্পিনার হারমিত সিংয়ের শিকারে পরিণত হন সাকিব। পরে বল হাতেও কিছু করতে পারেননি, ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করা নাইট রাউডার্স ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। সর্বোচ্চ রান করেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জেসন রয়। ৫২ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার। উন্মুক্ত চাঁদ ১৮ ও আন্দ্রে রাসেল ১৪ রান করেন। সিটলের জামান খান ও হারমিত সিং ২টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১৭ রানেই ওপেনার নোমান আনোয়ারকে হারায় সিটল। যদিও উইকেট হারানোর চাপ দলকে বুঝতেই দেননি রিকেলটন ও ডি কক। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৩ বলে ১৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুই ব্যাটসম্যান। ৬৬ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন রিকেলটন। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। ৪৬ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৫১ রান করেন ডি কক।