ডু প্লেসি-হার্ডি ঝড়ে ফাইনালের পথে টেক্সাস সুপার কিংস
শুরু ও শেষে কেউ-ই দলকে পথ দেখাতে পারেননি। মাঝে রানের দেখা পাওয়া তিনজন মিলে যে রান করেন, তাতে লড়াকু সংগ্রহই মেলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নিউ ইয়র্কের। কিন্তু টেক্সাস সুপার কিংসের দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে তা মামুলি হয়ে ওঠে। ব্যাটিং করা ডেভন কনওয়ে, অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি, অ্যারন হার্ডি; এই তিনজনই রানের দেখা পান। ডু প্লেসি ও হার্ডি রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন। তাদের ব্যাটে হেসেখেলেই বড় জয় তুলে নেয় টেক্সাস।
বুধবার রাতে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টেক্সাস সুপার কিংস। এই জয়ে ফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে রইলো দলটি। আগামী ২৭ জুলাই চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে টেক্সাস, তবে তাদের প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করেত নামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রশিদ খানের হাফ সেঞ্চুরি ও মোনাঙ্ক প্যাটেলের পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে তারা। দলটির হয়ে ব্যাটিং করা নয়জন ব্যাটসম্যানের কেবল তিনজন দুই অঙ্কের রান করেন। জবাবে কনওয়ের পর ম্যাচসেরা ডু প্লেসি ও হার্ডির জুটিতে ১৮.৩ ওভারে (৯ বল হাতে রেখে) বড় জয় তুলে নেয় টেক্সাস।
লক্ষ্য তাড়ায় দুর্বার শুরু করেন কনওয়ে ও ডু প্লেসি। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। ৪৩ বলে ৩টি চার ও এটি ছক্কায় ৫১ রান করে থামেন কনওয়ে। বাকি কাজটুকু সারেন ডু প্লেসি ও হার্ডি, তারা ৩৬ বলে ৬৬ রানের অবিচ্ছন্ন জুটি গড়েন। ডু প্লেসি ৪৭ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭২ ও হার্ডি ২২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। টেক্সাসের যাওয়া একমাত্র উইকেটটি নেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নসথুস কেনজিগে।
এর আগে ব্যাটিং করা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন রশিদ খান। আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার ৩০ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ রান করেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটা তার চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। ৪১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৮ রান করেন মোনাঙ্ক। ২৩ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৬ রান করেন শায়ান জাহাঙ্গীর। দলটির আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। টেক্সাসের মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যারণ হার্ডি ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান জিয়া-উল-হক, নূর আহমেদ ও ডোয়াইন ব্রাভো।