চট্টগ্রামে সাড়ে ১১ হাজার লিটার মদ জব্দ, ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা নস্যাৎ
১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বন্ধ কারখানার নামে ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ দেশের ভেতরে পাচারের চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে চট্টগ্রাম শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
বন্ড সুবিধার (শুল্কমুক্ত) আওতায় আমদানি করা চালানটি বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার খায়রুল বাসার।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, জব্দকৃত মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। চোরাচালানের চেষ্টা সফল হলে সরকার প্রায় ১২ কোটি টাকা রাজস্ব হারাত।
চালানটির আমদানি নথিতে সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড নামক একটি কোম্পানির নাম ও এটি নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে অবস্থিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডেপুটি কমিশনার খায়রুল বাসার টিবিএসকে বলেন, সিএন্ডএফ এজেন্ট চালানটিকে চীন থেকে আসা ফ্যাব্রিক হিসাবে ঘোষণা করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিল অব এন্ট্রি জমা দিয়েছিল। তবে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে চালানটিতে অনিয়মের খোঁজ পায় কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ শাখা।
২০ ফুট কনটেইনারে এক হাজার ১১৪টি কার্টনে থাকা চালানটি থেকে জ্যাক ড্যানিয়েলস, টিচার্স, স্মিরনফ, ব্যালানটাইনস, পাসপোর্ট স্কচ, চিভাস রিগ্যাল, ফোর্থ স্ট্রিট, হান্ড্রেড পাইপার্স, অ্যাবসলিউট ভদকা ও ব্ল্যাক লেবেলসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের এসব মদ উদ্ধার করা হয়।
সিএন্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং-এর চেয়ারম্যান মো. খালেদ হোসেন মামুন প্রতারণামূলক চালানের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তাদের কার্যক্রম ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে স্থগিত করা হয়েছে।
'আমি আমদানিকারক সম্পর্কে অবগত নই এবং এ চালানে আমাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। মনে হচ্ছে কোনো প্রতারক গোষ্ঠী আমার কোম্পানির ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড হ্যাক করেছে,' বলেন তিনি।
সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান সিনহাকে টেলিফোনে পাওয়া যায়নি।
বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান টিবিএসকে বলেন, সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড কারখানাটি ২০২০ সাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। 'আদালতের মাধ্যমে কোম্পানিটির সম্পদ নিলাম করা হয়েছে,' বলেন তিনি।