এবার নৈনিতাল এবং দেরাদুনকেও নিজ ভূখণ্ড দাবি করলো নেপাল
জুনের পর আবার সেপ্টেম্বরে। ভারতের বিরুদ্ধে ফের ভূখণ্ড দখল প্রতিবাদমুখর নেপাল। গত জুন মাসেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল দেশটি।
নেপালি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ তথা জাতীয় সভা'তেও পাশ হয়েছিল নতুন মানচিত্র বিল।
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্য সংলগ্ন লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ - তিনটি ভূখণ্ডকে নিজেদের দাবি করে নয়া মানচিত্র তৈরি করেছে নেপালের সমাজতন্ত্রী সরকার। বিতর্কিত সেই মানচিত্রে সবুজ সংকেত দেয় নেপালি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ। চলতি মাসে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও দেরাদুনকেও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে দেশটি। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন চলছে নেপালি নাগরিকদের মধ্যে।
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনিফায়েড নেপাল ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গ্রেটার নেপাল প্রচার শুরু করেছে। সেই প্রচারের অঙ্গ হিসেবে ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির আগে নেপালের ম্যাপকেই সামনে আনা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, ওই মানচিত্রে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকী সিকিমের বড় বড় শহরকেও নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল।
উল্লেখ্য, এর আগে উত্তরাখণ্ডের যে তিনটি অঞ্চলকে নেপাল নিজেদের বলে দাবি করছিল, তার কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই বলে তখনই সাফ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু, নেপাল অভিযোগ করে, নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারত এসব এলাকা নিজ দখলে নিয়েছিল।
প্রতিবাদে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
গত ৮ মে লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস মানস সরোবরে যাওয়ার নয়া ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপরই ভারত এবং নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। সঙ্গেসঙ্গেই এই রাস্তা উদ্বোধনের প্রতিবাদ জানায় কাঠমান্ডু। দাবি করে, বিতর্কিত এলাকায় নেপালের প্রতিবাদ গ্রাহ্য না করেই ভারত রাস্তাটি নির্মাণ করেছে। এসময় ভারতের অনমনীয় আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে পাল্টা নতুন মানচিত্র প্রকাশের উদ্যোগ নেয় নেপাল।
নতুন মানচিত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এবার তাতে যোগ করা হতে পারে নৈনিতাল এবং দেরাদুনকেও।
- সূত্র: এই সময়