‘মিরাজ অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছে’
সুযোগ ছিল প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে টাইমড আউট করার। আম্পায়ারের কাছে সেই আবেদনও করেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। নিয়ম মেনে চিটাগং ভাইকিংসের টম ও'কনেলকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। কিন্তু পরক্ষণেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ও'কনেলকে ফেরান মিরাজ। তার এই ক্রীড়াসুলভ আচরণের প্রশংসা করেছেন চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। ম্যাচের পর তিনি জানান, মিরাজ অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছে।
ঘটনাটি চট্টগ্রামের ইনিংসের সপ্তম ওভারের। প্রথম বলে হায়দার আলীকে ফেরান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে ঢুকতে দেরি করে ফেলেন ও'কনেল। দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকার নিয়ম থাকলেও তিনি দুই মিনিটের মধ্যে মাঠেই প্রবেশ করতে পারেননি। ও'কনেল যখন মাঠে প্রবেশ করছিলেন, ততোক্ষণে দুই মিনিট পেরিয়ে গেছে।
তার মাঠে প্রবেশ করার সময় অনফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মিরাজ ও খুলনার কয়েকজন ক্রিকেটারকে। মাঠে ঢুকে সতীর্থ শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে কথা বলছিলেন ও'কনেল। এ সময় আম্পায়ার এগিয়ে এসে তাকে টাইমড আউটের কথা জানান এবং আউট ঘোষণা করেন। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলে ফিরে যাচ্ছিলেন ও'কনেল। তবে সিদ্ধান্ত পাল্টান মিরাজ, হাত উঁচিয়ে তাকে ফিরিয়ে এনে ব্যাটিং করার সুযোগ দেন খুলনা অধিনায়ক।
এই ঘটনায় মিরাজের প্রশংসা করে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিথুন বলেন, 'আসলে মিরাজ অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছে। এখানে অবশ্যই মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন হওয়া উচিত না। একজন ব্যাটসম্যানের সব সময় প্রস্তুত থাকা উচিত। ও প্রস্তুত হতে দেরি করেছে, হয়তো বুঝতে পারেনি এতো দ্রুত উইকেট পড়বে; এ জন্য আস্তে-ধীরে রেডি হচ্ছিল। এ জন্যই ওর আসতে দেরি হয়েছে।'
চাইলেই আগের সিদ্ধান্তে থাকতে পারতেন মিরাজ। নিয়ম থাকায় সাজঘরে ফিরতে হতো ও'কনেলকে। এরপরও 'স্পোর্টসম্যানশিপ' দেখানোয় মিরাজের প্রশংসা করে মিথুন আরও বলেন, 'আমি মনে করি মিরাজ দারুণ কাজ করেছে, প্রশংসা অবশ্যই ওর প্রাপ্য। আর এটা তো ক্রিকেটের নিয়ম, সময় মতো না গেলে ফিল্ডিং সাইড আবেদন করবেই। কিন্তু ও (ও'কনেল) যখন রিটার্ন করেছে, এতে মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এটা তো সম্পূর্ণ ওর সিদ্ধান্ত ছিলো।'