কোচ হিসেবে আলাদা কিছু করার দেখছেন না ডমিঙ্গো
হঠাৎ-ই যেন অচেনা চেহারায় বাংলাদেশের ফিল্ডিং। ক্যাচ কিংবা গ্রাউন্ড ফিল্ডিং, বাংলাদেশের ফিল্ডাররা বলে হাত রাখলেই ফসকে যায়। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফিল্ডিংয়ের এই বেহাল দশার শুরু। সম্ভাবনা তৈরি করেও ফিল্ডিং মিসের মহড়ায় সব মিলিয়ে গেছে। একই অবস্থা শ্রীলঙ্কা সফরেও। সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার কারণ ফিল্ডিং।
একই ভুল বারবার নয়; এমন থিওরিতে বিশ্বাস রেখে অনুশীলনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে ফিল্ডিংয়ে। গত ২ মে থেকে শুরু হওয়া অনুশীলনের একটি অংশে নিয়মিতভাবে ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করা হয়েছে। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের উন্নতিতে আলাদা করে কোনো কাজ হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, কোচ হিসেবে এখানে আলাদা করে কাজ করার কিছু দেখছেন না তিনি।
২৩ মে দুপুর একটায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের আগেরদিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেন ডমিঙ্গো। শুরুতেই তাকে উত্তর দিতে হয় ফিল্ডিং নিয়ে। আলাদা করে কাজ করার প্রসঙ্গে প্রোটিয়া এই কোচ বলেন, 'আমার মনে হয় না কোচ হিসেবে এখানে আলাদা কিছু করার আছে।'
তার মতে ফিল্ডিং হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। পুরনো কথা ভাবলে ফিল্ডিং আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডমিঙ্গো বলেন, 'ফিল্ডিং পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। এটা নিয়ে আপনি যতো কথা বলবেন, ততো কঠিন হবে। আমরা আমাদের সেরা কিছু ফিল্ডিংয়ের কথা স্মরণ করে সেখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নিতে পারি। আমরা কিছু ভালো ক্যাচ ও রান আউট করেছি, তবে এটা ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। ভুলের দিকে বেশি নজর না দিতে চেষ্টা করতে হবে আমাদের।'
সব দলেই ভালো-খারাপ ফিল্ডার থাকে। ঠিক জায়গায় ঠিক ফিল্ডারকে রাখাটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, 'দলে দারুণ কিছু ফিল্ডার থাকে, কিছু গড়পড়তা মানের ফিল্ডার থাকে। ঠিক জায়গায় ঠিক ফিল্ডারকে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেটা বলছিলাম, ফিল্ডিংয়ে আত্মবিশ্বাস বড় ব্যাপার। এই সিরিজে মানসিক দিক থেকে আমাদের ভালো অবস্থানে থাকতে হবে। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, ফিল্ডিংয়ে আমরা ভালো এবং চাপে থেকেও আমরা ভালো ফিল্ডিং করতে পারি।'
ডমিঙ্গোর মতে, কোচ হিসেবে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বলেন, 'কোচ হিসেবে আমি মনে করি নীতি, বিশ্বাস ও ঠিক জিনিস করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা করার চেষ্টা করছি।' আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের ওপর চাপের যে বোঝা থাকে, সেটাও মনে করালেন তিনি।
ডমিঙ্গো বলেন,'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে সব সময়ই ব্যক্তিগত, পরিবার, বন্ধু-সহকর্মী, মিডিয়া থেকে চাপ থাকে। বলাই যায় যে, যাও এবং খেলো। কিন্তু এটা স্কুল ক্রিকেট নয়। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সময় সবাই খুব সচেতন থাকে। কোচ হিসেবে আপনার দায়িত্ব খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপ সরানো। তাদেরকে ভালোভাবে পস্তুত করা এবং এটা নিশ্চিত করা যে তারা মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে আছে।'