প্রতিপক্ষের মনের খবর জানেন মুশফিক!
বিপদে হাল ধরে দলকে পথ দেখানো কিংবা বিজয় ছিনিয়ে আনা বড় খেলোয়াড়ের কাজ। কঠিন সময়ে খেই না হারিয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করার কারণেই বড় খেলোয়াড়ের ট্যাগ মেলে। বাংলাদেশ দলে মুশফিকুর রহিম যে বড় খেলোয়াড়, তা নতুন করে বলার মতো কোনো তথ্য নয়।
নতুন তথ্য মুশফিক নিজেই দিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের পর অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার জানালেন, প্রতিপক্ষ যে তাকে বড় খেলোয়াড় ভেবে থাকতে পারে, তা তিনি জানেন। আর এটা তাকে বাড়তি সুবিধা দেয়।
সিরিজের শেষটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম দুই ওয়ানডে দিয়ে সিরিজ জিতে নেওয়া তামিমবাহিনী শেষ ম্যাচে হেরেছে ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন মুশফিক। ৮৪ ও ১২৫ রানের ইনিংসে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা মুশফিকও এই ম্যাচে দলকে টানতে পারেননি। ২৮ রান করে থামেন তিনি।
শেষ ম্যাচ হারায় হতাশা থাকলেও তা বিষাদের মতো নয়। দলের সিরিজ জয় ও নিজের সিরিজ সেরা হওয়া নিশ্চয়ই তৃপ্তি দিয়েছে মুশফিককে। ম্যাচ শেষে নিজ সম্পর্কে এবং দলের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।
তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি জানিয়ে মুশফিক বলেন, 'আমার মনে হয়, ছেলেরা ভালো করেছে। তারা এই সিরিজের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। গত কয়েক মাস আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। তবে সৌভাগ্যক্রমে প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দূর্ভাগ্যবশত ভালোভাবে শেষ করতে পারলাম না আমরা।'
খেলার মাঝে চাপে ভরকে যান না মুশফিক, বরং এটাকে উপভোগ করেন তিনি। প্রতিপক্ষের ভাবনাও তাকে বাড়তি সুবিধা দেয় বলে জানান মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'চাপ আমি সব সময়ই উপভোগ করি। যখনই চাপ বা প্রত্যাশার বিষয় চলে আসে, আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করি। আমি জানি, প্রতিপক্ষ আমাকে বড় খেলোয়াড় ভেবে থাকতে পারে। এটা আমাকে বাড়তি সুবিধা দেয়।'
১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ দলে খেলে আসছেন মুশফিক। দীর্ঘ এই পথচলা কীভাবে সম্ভব হচ্ছে, তা নিয়েও কথা বলেন তিনি। তার ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে খেলতে হলে যেসব কাজ করতে হয়, তা প্রতি ম্যাচেই করার চেষ্টার করেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, '১৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে আপনাকে নিজের দেশের জন্য যত বেশি সম্ভব অবদান রাখতে হবে। আমি প্রতি ম্যাচে সেই চেষ্টা করি।'