চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ ইউজিসির, ব্যাখ্যা দাবি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, অনুমোদন ছাড়াই ইতোমধ্যেই যেসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে সেসবের দালিলিক প্রমাণসহ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন- ইউজিসি'র পক্ষ থেকে দুটি চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে ৩০ মে '13 illegal appointments alleged at Chittagong University' শিরোনামে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর নানা মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে ৩১ মে- ২৭ টি হল, বিভাগ ও দপ্তরের ৪১ পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
নিয়োগ বন্ধ রাখার বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো ইউজিসির চিঠিতে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্বদ্যালয় সমূহকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়া অ্যাডহক/দৈনিক হাজিরা/মাস্টাররোল ইত্যাদি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু, একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ দিয়েছে।
"ইউজিসি সরকারের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো নিয়োগের সঙ্গে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের যোগ থাকে। কাজেই কমিশনের পূর্বানুমোদন ব্যাতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো নিয়োগ না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"
অন্যদিকে, সংবাদ প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে দেওয়া জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যখ্যা চেয়েছে ইউজিসি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো দ্বিতীয় ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ৩১ মে তারিখে প্রকাশিত ২৭টি হল, বিভাগ ও দপ্তরে ৪১ পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। যদিও পাবলিক বিশ্বদ্যালয় সমূহকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের জনবল নিয়োগ না দেওয়ার জন্য আগেই অনুরোধ জানানো হয়। এ অবস্থায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও যেসব নিয়োগ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে দালিলিক প্রমাণসহ ব্যাখ্যা ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হলো।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, "ইউজিসির চিঠি আমরা পেয়েছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাডহক/দৈনিক হাজিরা/মাস্টাররোল নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে আমরা যেসব বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি তা মূলত মৃত্যুজনিত ও অবসরজনিত কারণে শূন্য হওয়া পদ। এসব পদে জনবল নিয়োগে ইউজিসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এই ব্যাখ্যা আমরা ইউজিসির কাছে পাঠিয়েছি।"