ই-কমার্সে প্রতারণায় দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের ই-কমার্স খাতে প্রতারণার দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে। কারণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েই তারা কার্যক্রম শুরু করেছে।
তবে একই সাথে সরকারও দায় এড়াতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। বুধবার মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এসব প্রতিষ্ঠান করার সময় কারো না কারো ছাড়পত্র নিয়েই করা হচ্ছে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে কমার্স মিনিস্ট্রি। তাই তাদের প্রাইমারিলি দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের সাথে অন্য যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের সবারই আমি মনে করি, দায়িত্ব নেয়া উচিত।'
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশের জনগণকে অনুরোধ করেন, ইভ্যালি ও ইঅরেঞ্জ এর মতো প্রতারণামূলক ফাঁদে পা দেওয়া ঠেকাতে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোতে কম দামে পণ্য কেনার আগ্রহ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্যের উপর বড় ধরনের ছাড় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে অ্যাডভান্স টাকা হাতিয়ে নেয় ইভ্যালি। অর্ডার করার ৭-৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখনও অসংখ্য ক্রেতা তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য বুঝে পাননি।
টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। পরবর্তীতে, এই জুটির নামে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
এর পাশাপাশি, ইঅরেঞ্জ নামের অন্য একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মও একই ব্যবসায়িক মডেল অনুসরণ করেছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তারা গ্রাহকদের কাছে পণ্য ডেলিভারি দেয়নি কিংবা তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইতিমধ্যেই কারাগারে আছেন।