আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে সবার ওপরে সাকিব
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু, শুরু সাকিব আল হাসানের শো-ও। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে একের পর এক রকের্ড গড়ে আসছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। রোববার সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে আরেকটি রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক এখন তিনি।
৩৯টি উইকেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার শহীদ আফ্রিদি। প্রথম রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে আফ্রিদিকে ছুঁয়েছিলেন সাকিব। আজ শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। পরে আরেকটি উইকেট নেওয়ায় সাকিবের উইকেট এখন ৪১টি।
এই রেকর্ডে সাকিবের নামটি যে লম্বা সময় ধরে থাকবে, সেটা বলে দেওয়াই যায়। এই রেকর্ডে তার আশেপাশে কোনো বর্তমান বোলার নেই। আফ্রিদি সাবেক হয়ে গেছেন কয়েক বছর হলো। ৩৮ উইকেট নিয়ে দুই নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা এ বছরই ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। ৩৬ উইকেটের মালিক পাকিস্তানের লেগ স্পিনার সাঈদ আজমলও সাবেকদের তালিকায়।
৩৫টি করে উইকেটের মালিক অজান্তা মেন্ডিস ও ওমর গুলও সাবেক হয়েছেন বেশ আগে। ৩০ উইকেট নেওয়া ইংল্যান্ড পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ২০১৪ সালের পর টি-টোয়েন্টিই খেলেননি। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় বর্তমান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ডোইন ব্রাভো। কিন্তু সাকিবের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ব্রাভো, তার উইকেট ২৫টি।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা মনে করিয়ে দারুণ সব কীর্তি গড়ে চলেছেন সাকিব। তিন ম্যাচে ইতোমধ্যে সাকিবের শিকার ৯ উইকেট। ব্যাট হাতে করেছেন ১০৮ রান। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে যান বাঁহাতি এ স্পিনার। ৮৯ টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট এখন ১১৫টি। এ পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন লাসিথ মালিঙ্গাকে। ৮৪ টি-টোয়েন্টিতে ১০৭ উইকেটের মালিক শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা এই পেসার।
স্কটিশদের বিপক্ষে দুই উইকেট শিকারে আরও একটি অনন্য রেকর্ডে নাম লেখান সাকিব, ক্রিকেট ইতিহাসে যোগ করেন নতুন পাতা। ওই ম্যাচে ৬০০ আন্তর্জাতিক উইকেট (তিন ফরম্যাট মিলিয়ে) পূর্ণ হয় তার। ১০ হাজার রানের কোটা পূর্ণ হয়েছে বেশ আগেই (সাকিবের রান ১২ হাজার ২৮৮)। দুইয়ে মিলিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রান ও ৬০০ উইকেটের ডাবল পূর্ণ করেন সাকিব। এই ডাবলে তার ধারে কাছেও কেউ নেই।
শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৪৬ রান ও পরে ৪ উইকেট নেন সাকিব; স্বভাবতই আবারও ম্যাচসেরা তিনি। এখানেও তিনি অনবদ্য। আইসিসির ইভেন্টে বাংলাদেশের জয় মানেই সেখানে কাণ্ডারি সাকিব। আইসিসির ইভেন্টে বাংলাদেশের সর্বশেষ ছয়টি জয়ের সবকটিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।