নিয়োগ জালিয়াতির ঘটনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
পাঁচটি সরকারি ব্যাংকে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নয় এমন ব্যাখ্যা দিয়ে উল্টো গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে সরকারি পাঁচ ব্যাংকের অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ব্যাখ্যায় এই প্রশ্ন তোলে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, জালিয়াতির বিষয়ে সম্প্রতি কতিপয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনেকাংশেই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং সঠিক নয়। তবে প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করার ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যাপক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারেও বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, নাম উল্লেখ না করে একজন ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন। উক্ত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র থেকে যাচাই করে নেয়ার সুযোগ ছিল, এমন পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রেরিত ব্যাখ্যা প্রশ্নফাঁসের কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীনে পরিচালিত ওই পরীক্ষা বাতিল করা এবং পরীক্ষা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ওই পাঁচ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অধিকতর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে উক্ত ফাঁসের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে সিসিটিভি অপারেটর পদের অন্য একটি পদের (১৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত) লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ব্যাংকের যুগ্মপরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ এবং মো. আলমাস আলীকে ১৩ জুন তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অধিকতর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাঁচ ব্যাংকের অফিসার পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে সেই প্রশ্নের উত্তর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ ব্যাংক কোন তদন্ত ছাড়াই সে অভিযোগ নাকচ করে। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ব্যাংক।