পাপিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে যারা অপরাধ করেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, 'যারাই অপরাধের সাথে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।'
শুক্রবার আশুলিয়ার গেরুয়া বাজার এলাকায় দারুল উলুম মাবিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার একটি ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অপরাধ করে বর্তমান সরকারের সময় কেউ পার পাবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'দেশে আইন এবং বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। তাই বিচার বিভাগের ওপর বর্তমান সরকারের কোনো হাত নেই। খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার আদালতের।'
তিনি আরও বলেন, 'খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে বিজ্ঞ আদালত যা করেছেন সেটা তারা ভেবে চিন্তে এবং আইন অনুযায়ী করছেন, কাজেই এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।'
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মাদরাসার সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মুছা মিয়া, স্থানীয় পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ার, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনসহ চারজনকে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তারা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার নগদ টাকা এবং বিভিন্ন দেশের বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রা জব্দ করা হয়।
পরে র্যাব রবিবার রাজধানীতে পাপিয়ার দুটি বাড়ি ও তার ভাড়া করা পাঁচতারকা হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে তল্লাশি চালিয়ে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার নগদ টাকাসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করে। এ ঘটনায় সোমবার পাপিয়া ও সুমনকে বিমানবন্দর ও শের-ই-বাংলানগর থানার তিন মামলায় ১৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার দুই আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সহকারী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবাকে এক মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেওয়া হয়।