ফিক্সিং কাণ্ডে ফিফাও নিষিদ্ধ করল আরামবাগের ফুটবলারদের
ম্যাচ পাতানো, লাইভ বেটিং ও ম্যাচ ম্যানুপুলেশনের অভিযোগ ছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিরুদ্ধে। সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগে গত বছরের ২৯ আগস্ট আরামবাগকে দুই মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এ ছাড়া কোচ, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এবার তাদের শাস্তি দিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও।
বাফুফের শাস্তি ছিল ঘরোয়া ফুটবলে। ফিফার শাস্তির কারণে ফিক্সিংয়ে জড়িতরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিষিদ্ধ হলেন। বৃহস্পতিবার ফিফা এই শাস্তি ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
তিনি বলেছেন, 'আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের পাতানো ম্যাচ সংক্রান্ত বিষয়ে গত বছর আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কয়েকজন কর্মকর্তা, কোচ এবং দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়কে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি যে শাস্তি দিয়েছিল এবং পরে বাফুফের আপিল কমিটিতেও যে শাস্তি বহাল ছিল, সে ব্যাপারে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও ফিফা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল।'
আবু নাইম সোহাগ আরও বলেন, 'বাফুফের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর প্রভাব ছিল ঘরোয়া ফুটবল কেন্দ্রিক। ম্যাচ গড়াপেটা, স্পট ফিক্সিং এ বিষয়ে বাফুফের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর, সেটা আমরা ফিফাকে জানিয়েছি। ফিফা থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচ পাতানোর ফলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি বহাল থাকবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। আমরা সংশ্লিটদের সেটা জানিয়ে দিয়েছি।'
২০২০-২০২১ মৌসুমে বেটিং, স্পট ফিক্সিং, অনলাইন বেটিংসহ অন্যান্য অভিযোগে আরামবাগের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ভারতীয় ফিটনেস ট্রেনার মাইদুল ইসলাম, সাবেক সহকারী দলীয় ম্যানেজার আরিফ হোসেনকে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। ক্লাবটির সাবেক ভারতীয় ফিজিও সঞ্জয় বোস, ভারতীয় গেম অ্যানালিস্ট আজিজুল শেখকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করা হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তাদের এই শাস্তি বহাল থাকবে।
আরামবাগের সাবেক গোলরক্ষক আপেল মাহমুদকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় সাবেক খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, কাজী রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজা ও অস্ট্রেলিয়ার ব্রাডি স্মিথকে। তারা সবাই এই মেয়াদে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিষিদ্ধ থাকবেন।
এ ছাড়া দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া আরামবাগের সাবেক নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় ক্রিস্টোফার চিজোবা, ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য হবে।