দুই বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব সময়ই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সেই ১৯৯৯ সালে ওয়ানডেতে প্রথম দেখা, এরপর প্রতি সাক্ষাতেই স্কটিশদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ফেবারিট ছিল। যদিও ফেবারিট দল জেতেনি, দারুণ ক্রিকেট খেলে ৬ রানের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্কটিশরা।
বাংলাদেশ ফেবারিট হওয়ায় এটাকে অঘটনই বলা হচ্ছে। যদিও স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের কথা শুনলে এটাকে অঘটন মনে হবে না। তার মতে, এই জয় হঠাৎ-ই চলে আসেনি। দুই বছর ধরে নেওয়া প্রস্তুতির পুরস্কার হিসেবে মিলেছে বাংলাদেশকে হারানোর সুখ।
যদিও টি-টোয়েন্টিতে পেছনের রেকর্ড টানতে পারতেন কোয়েটজার, যা তাদের পক্ষেই ছিল। ওয়ানডেতে কখনও বাংলাদেশকে হারাতে না পারলেও একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল স্কটল্যান্ড। ২০১২ সালের সেই ম্যাচে ৩৪ রানে জিতেছিল স্কটিশরা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্তম এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতভাগ সাফল্যের হার ধরে রাখলো তারা।
কোয়েটজার পেছন ফিরে চেয়েছেন, তবে এতটা পেছনে নয়। কঠোর পরিশ্রম, লড়াইয়ের মানসিকতা আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে গত কয়েক বছরে স্কটল্যান্ড যে উন্নতি করেছে, সেটাই জানাতে চাইলেন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক।
তৃপ্তির সাথে নিজেদের উন্নতির খবর ক্রিকেট দুনিয়াকে জানাতে গিয়ে কোয়েটজার বলেছেন, 'আমাদের জন্য এই জয়টা অনেক বড়। এই জয়টির জন্য অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করছি আমরা। কখনও কখনও মনে হয়েছে, শুধু শুধু কষ্ট করে যাচ্ছি আমরা। কারণ, আমাদের সফরগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছিল। ব্যাপারটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল।'
নির্দিষ্ট করে গত দুই বছরের কথা উল্লেখ করেছেন কোয়েটজার। তার ভাষায়, 'বাছাইপর্ব পার হয়ে এ জয়ের জন্য দুই বছর ধরে পরিকল্পনা করতে হয়েছে আমাদের। অনেক দীর্ঘ সময় ছিল সেটা। পর্দার আড়ালে অনেক কিছু নিয়েই পরিকল্পনা করতে হয়েছে। এর জন্য অনেক মানুষ দিনরাত খেটেছেন।'
নিজেদের কাজটা নিয়মিত করে গেছেন কোয়েটজাররা। বিশ্বাস রেখেছেন আগামীর ভালো জন্য। সেই বিশ্বাসের মূল পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্কটিশ অধিনায়ক, 'আমরা আমাদের বিশ্বাসের মূল্য পাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম যে হবেই। আর যখন হবে, তখন আমরা দল হিসেবে আরও অনেক ভালো অবস্থানে থাকব।'