নাঈম-সাকিবে বাংলাদেশের লড়াকু পূঁজি
আগের ম্যাচের মতো ওমানের বিপক্ষেও শুরুটা ভালো হলো না। দলীয় ২১ রানেই নেই দুই উইকেট। এখান থেকে দলের হাল ধরেন নাঈম শেখ ও সাকিব আল হাসান। ওমানের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে শুরুতে রান তুলতে ধুঁকছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যানও। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার থেকে মাত্র ২৯ রান পায় বাংলাদেশ।
যদিও দলকে হতাশ করেননি তারা। উইকেটে থিতু হওয়ার সুবিধা পরে কাজে লাগিয়েছেন নাঈম-সাকিব। এই জুটিতে ১০১ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৯ ওভারে ৮০ রানের জুটি গড়েন তারা। নাঈম-সাকিবের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছোট ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে এই রানের মধ্যেই ওমানকে বাঁধতে হবে, হারলেই বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত।
নিজের ছায়া হয়ে থাকা লিটন ৬ রান করে থামেন। সাকিবের জায়গা তিনে নেমে হতাশ করেন শেখ মেহেদী হাসান। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এরপর নাঈম ও সাকিবের লড়াই। দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে ছন্দ পাওয়া সাকিব ২৯ বলে ৬টি চারে ৪২ রান করে রান আউট হন। থ্রো আসছে দেখেও সেভাবে চেষ্টা করেননি সাকিব, অনেকটা আলসেমিতে রান আইট হন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিব ফিরলে নাঈম তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। বাঁহাতি এই ওপেনার ৫০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৬৪ রান করেন। এরপর দ্রুত ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। সোহান ৩ ও আফিফ ১ রান করেন।
ব্যাটিং অর্ডার বদলে এদিন ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম সাত নম্বরে। মুশফিক ৬ রান করে থামেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন থামেন কোনো রান না করেই। শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহই যা রান করেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ১০ বলে ১৭ রান করেন। দারুণ বোলিং করা বিলাল খান ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। এ ছাড়া ফায়াজ বাট ৩টি ও কলিমুল্লাহ ২টি উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন অধিনায়ক জিশান মাকসুদ।
আলসেমিতে আউট সাকিব, নাঈমের হাফ সেঞ্চুরি
সময় যতো গড়াচ্ছিল তত চড়াও হচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। নাঈম শেখও দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। তাদের ব্যাটে ১৩.৩ ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এমন সময় আলসেমিতে আউট হলেন সাকিব। আকিব ইলিয়াসের করা থ্রো যেন চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন তিনি। সাকিব চেষ্টাই করেননি নিজেকে বাঁচাতে। আকিবের থ্রো ভেঙে দেয় স্টাম্প।
২৯ বলে ৬টি চারে ৪২ রান করেন দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে ছন্দ পাওয়া সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে গেছেন নুরুল হাসান সোহান। এরপরই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাঈম। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই হাফ সেঞ্চুরি করলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
সোহান আগের দিনের মতো এদিনও রান করতে পারেননি। ছক্কা মারতে গেলে সেই লং অফেই ধরা পড়েন তিনি। ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১২ রান। নাঈম ৪৬ বলে ৫৬ রানে ব্যাটিং করছেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমক এখনও ব্যাটিংয়ে নামেননি।
সাকিব-নাঈমে ১০ ওভারে বাংলাদেশের ৬৩
শুরুর চাপ কাটিয়ে দ্রুততার সঙ্গে রান তুলতে পারছিলেন না নাঈম শেখ ও সাকিব আল হাসান। তবে ধীরে ধীরে সাবলীল ব্যাটিং করতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটসম্যান। ওমানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর কার্ডে যোগ হয়েছে ৬৩ রান। নাঈম ৩১ বলে ৩২ ও সাকিব ১৮ বলে ২২ রানে ব্যাটিং করছেন।
বাংলাদেশের ধীর গতির ব্যাটিং, এগোচ্ছে না রান
লিটন দাস, শেখ মেহেদী হাসানরা পারেননি। কিছু করার আগেই তারা ফেরেন সাজঘরে। ওমানের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে রান তুলতে পারছেন না নাঈম শেখ ও সাকিব আল হাসান। ৭ ওভার শেষে ২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪১ রান। ৬ রান করেও তুলতে পারছে না বাংলাদেশ।
এটাও হতো না, যদি কিনা সপ্তম ওভারের শেষ বলে নাঈমের ক্যাচটি যতিন্দর সিং না ছাড়তেন। শুধু ক্যাচই ছাড়েননি তিনি, ওটাকে ছক্কা বানিয়ে দিয়েছেন। নাঈম ২৫ ও সাকিব ৮ রানে ব্যাটিং করছেন।
অসাধারণ ক্যাচে মেহেদীকে ফেরালেন ফায়াজ, শুরুতেই বিপদে বাংলাদেশ
লিটন দাস ফেরার পর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেও লাভ হলো না বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসানের জায়গায় মেখ মেহেদী হাসানকে নামানো হয়। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪ বলে কোনো রান না করেই ফিরলেন সাজঘরে।
নিজের বলেই অসাধারণ এক ক্যাচে মেহেদীকে ফিরিয়ে দেন ওমানের ডানহাতি পেসার ফায়াজ বাট। নাঈমের সঙ্গে উইকেট যোগ দিয়েছেন সাকিব। ৫ ওভার শেষে ২ উইকেট বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ রান। নাঈম ১৩ ও সাকিব ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
ধুঁকে ধুঁকে আউট হলেন লিটন, সাকিবের জায়গায় নামলেন মেহেদী
ওমানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। বল হাতে দারুণ শুরু করেছে ওমান। আইসিসির সহযোগী দেশটির দুই পেসার বেলাল খান ও কলিমুল্লাহর বিপক্ষে রানই তুলতে পারছিলেন না লিটন দাস ও নাঈম শেখ।
প্রথম ওভারে ৩ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে। দুটি রানই আসে ওয়াইড থেকে। নাঈম শেখ ৬ বল খেলে ১ রান নেন। লিটনও রান তুলতে ধুঁকছিলেন। শেষ পর্যন্ত আউটই হেয় গেলেন তিনি। বিলাল খানের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন।
আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় ওমান। এর আগে দুবার আউট হতে হতে বেঁচে যান লিটন। কিন্তু তৃতীয়বার আর রক্ষা হলো না। ৩ ওভার শেষে ১ উইকেট বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ রান। সাকিব আল হাসানের জায়গায় তিনে নেমেছেন শেখ মেহেদী হাসান।