পেলে: সেরা হওয়ার মাপকাঠি
পেলে, ইংরেজিতে লিখতে চারটি অক্ষর। পেলে, শব্দটাই যথেষ্ট তাকে চেনাতে, জানাতে, বোঝাতে। পেলে, নামটা শুনলেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষ বুঝে নিবে, কী নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এতোই বিশাল তার এই নামের পরিধি।
পেলে, এই নামটা শুধুমাত্র ফুটবল ভক্তদের মনেই আলোড়ন তুলে তা নয়। যে কেউ এই নাম শুনলে শিহরিত হোন, তা সে যদি ফুটবল ভালো নাও বেসে থাকেন। এই হিসেবে, পেলে ডেভিড বেকহামের আগেই ডেভিড বেকহ্যাম, পেলে মাইকেল জর্ডানের আগেই মাইকেল জর্ডান।
পেলেই ফুটবল খেলাটির প্রথম বিশ্বতারকা। যার উপর ছিলো মিডিয়ার নজর, ব্যবসায়িক নজর, উচ্চ বেতন সহ একজন আধুনিক যুগের ফুটবল তারকা যা, আজ থেকে ৬০ বছর আগেই পেলে তার সবকিছুই ছিলেন। আর হ্যাঁ, তিনি কিন্তু তিনটি বিশ্বকাপও জিতেছেন।
ফুটবল খেলার নাম উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথেই চলে আসতো পেলের নাম। কারণ ফুটবলকে সবাই পেলের খেলা হিসেবেই চিনতো। এমনকি, যারা ফুটবল খুব বেশি অনুসরণ করতো না, তারাও পেলে সম্পর্কে জানতো। পেলে এমনই এক নেশা ছিলেন, যার অনুশীলন দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসতেন, খেলা তো আরো পরের হিসেব।
পেলের সঙ্গে অসংখ্য খেলোয়াড়ের তুলনা করা হয়েছে। ব্রাজিলেরই জিকো থেকে শুরু করে ইয়োহান ক্রুইফ, দিয়েগো ম্যারাডোনা থেকে মিশেল প্লাতিনি, জার্ড মুলার থেকে ইউসেবিও, বর্তমানের মেসি থেকে রোনালদোরাও এই তুলনার বাইরে নন।
এদের কেউ দেখতে কতোটা সুন্দর কিংবা কতোটা ভালো খেলেন তা দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না, কে কতোটা মহৎ সেটি দেখতে হবে। আর এখানেই সবার চেয়ে এগিয়ে পেলে, তিনিই মাহাত্ম্যের মাপকাঠি।