ইউএনও বক্সে পাওয়া গেল শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ
শিক্ষার্থীদের মনের না বলা কথাগুলো জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দু'টি বিদ্যালয়ে 'ইউএনও বক্স' বসানো হয়েছিল। সেই বক্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ ও পরামর্শের কথা জানাতে শুরু করেছে।
বুধবার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিমুল হায়দার বক্স দু'টি খুলেছেন।
শিক্ষার্থীরা ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগ ও পরামর্শের কথা জানিয়েছে।
পরিবার ও স্কুল শিক্ষকদের কাছে মন খুলে বলতে না পারা শিক্ষার্থীদের কথাগুলো জানতে ইউএনও বক্স বসানোর উদ্যোগ নেন আশুগঞ্জের ইউএনও।
প্রাথমিকভাবে গত ২৭ জানুয়ারি আশুগঞ্জের রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি হাজি আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ে কাঠ ও স্বচ্ছ কাচের তৈরি ইউএনও বক্স বসানো হয়। প্রতি সপ্তাহে একবার করে খোলা হবে বক্সগুলো।
সে অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টার দিকে ইউএনও নাজিমুল বক্স দু'টি খুলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও পরামর্শের চিঠিগুলো গ্রহণ করেন।
দু'টি বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী চিঠির মাধ্যমে তাদের অভিযোগ ও পরামর্শের কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগাম প্রশ্নপত্র সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, বিভিন্নভাবে বাড়তি ফি আদায়।
আর পরামর্শ হিসেবে স্কুলের সামনের সড়কে ফুটওভার ব্রিজ ও স্পিড ব্রেকার স্থাপন, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা, বাল্যবিবাহের কুফল নিয়ে মা সমাবেশ, উন্নত টয়লেট ও স্মৃতিসৌধের পুনর্নিমাণ প্রাধান্য পেয়েছে।
এ বিষয়ে রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল আজাদ বলেন, "শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পাশাপাশি তাদের পরামর্শগুলোও আমরা গ্রহণ করব।"
আশুগঞ্জের ইউএনও নাজিমুল হায়দার বলেন, "গুরুতর তেমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে অগ্রিম প্রশ্ন সরবরাহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি অন্য অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কবর।"