দেশে কোভিড-১৯: ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্তের হার কমে ১.৮০%
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল আগের সপ্তাহের তুলনায় আবারও শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৬৯-এ দাঁড়ায়। আজ শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে।
মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৩৬৮ জনের দেহে। এর আগে গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল।
প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের কারণে জুলাই-আগস্ট দুইমাস টানা শতাধিক মৃত্যু হলেও সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে তা কমেছে। একই সময়ে সংক্রমণ কমে ৫ শতাংশের নিচে আসায় এ পরিস্থিতিকে 'স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ' বলছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর।
প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, পরপর দুই সপ্তাহ করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা পরিস্থিতি 'নিয়ন্ত্রণে' আছে বলে বিবেচনা করা যায়। তবে এই সময়েও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সবাইকে।
গতকাল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আবারও ২ শতাংশ ছাড়ায়। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আবারও ২ শতাংশ থেকে কমে ১.৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় কোভিডজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭, শনাক্ত হয়েছিল ৪৬৯ জন।
গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ২৭ হাজার ৭৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডজনিত কারণে।
গত এক বছরে দেশে যতো মানুষ করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে।
মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৮ জনে। গত বছর থেকে দুইটি আলাদা ওয়েভে দেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ দেখা গেলেও চলতি বছরের জুনের প্রথমার্ধ থেকেই করোনা শনাক্তের পরিমাণ ব্যাপকহারে বাড়তে শুরু করে। তবে বর্তমানে শনাক্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর এর মতে, কোনো এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের বেশি হলে সেটিকে 'উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ', ৫-১০ শতাংশের মধ্যে হলে 'মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ' এবং ৫ শতাংশের নিচে হলে 'স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।