ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-নির্বাচন: নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাত্তার
অবশেষে আড়াল ভেঙে ভোটের প্রচারণায় এলেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সরাইল উপজোলার পরমানন্দপুর গ্রামে নিজের 'কলার ছড়া' প্রতীকের সমর্থনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। সাত্তারের নিজ গ্রাম পরমানন্দপুর। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে ইতোমধ্যে উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৩ আওয়ামী লীগ নেতাসহ চার প্রার্থী। এরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন এবং আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন- স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম।
চার 'হেভিওয়েট প্রার্থীর' সরে যাওয়ার ফলে সাত্তারের জয়ের পথ অনেকটাই সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তবে এখনও সাত্তারের সঙ্গে ভোটের মাঠে আছেন তিন প্রার্থী।
দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে গত ডিসেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করেন পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার। এরপর তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে সরে গিয়ে ফের নিজের আসন থেকে উপ-নির্বাচনে লড়তে মনোনয়ন ফরম কিনেন। পরবর্তীতে তাকে দল থেকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এদিকে, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দলের এক সভায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা অভিযোগ তোলেন- সাত্তারকে জয়ী করতেই আওয়ামী লীগের ৩ নেতার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করিয়েছে সরকার। এছাড়া সাত্তারের পক্ষে দলের কেউ কাজ করলে তাকে বহিস্কার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন রুমিন।
তবে এত কিছু হওয়ার পরেও অনেকটা আড়ালে ছিলেন সাত্তার।
এরপর বৃহস্পতিবার এই আড়াল ভেঙে ভোটের প্রচারণা সভায় আব্দুস সাত্তার বলেন, 'পরিস্থিতির কারণে আমার পদত্যাগ করতে হয়েছে। আবার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। যা করেছি- সততার সাথে করেছি এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থে এবং জনগণের কল্যাণের জন্য নির্বাচন করছি। আপনাদের সাহায্য চাই'।