চট্টগ্রাম-১০: তিন মাসের এমপি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২৯ জন
চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনে ৩ মাসের জন্য সংসদ সদস্য হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২৯ প্রার্থী। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিন সোমবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে এসব মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে।
আগামী ৩ জুলাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২৯ জন প্রার্থী।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা এলাকা নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে (২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮) এ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ২ জুন তার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ জুলাই এ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ জুলাই।
মাত্র তিন মাস সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হতে ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, যিনি তিন মাস মেয়াদের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন তার জন্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন সহজ হবে।
গত সংসদ নির্বাচনে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক ও যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। তারা এবারও মনোনয়নপ্রত্যাশী।
সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে তৃণমূল থেকে রাজপথে ছিলাম, এখনও আছি। দলের জন্য রাজনৈতিক মামলায় আমি বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার ও হয়রানির শিকার হয়েছি। আমি চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্থায়ী বাসিন্দা। তাই এই আসনের মানুষের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। নেত্রী যদি যোগ্য মনে করেন, তাহলে হয়তো মানুষের সেবা করার সুযোগ পাব।'
মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, 'এই আসনে আমার সাংগঠনিক বিচরণ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে এই এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম, এলাকার সাধারণ মানুষও আমাকে তাদের লোক মনে করে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই মাথা পেতে নেব।'
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য মো. শফর আলী, একেএম বেলায়েত হোসেন, চার নম্বর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রেজওয়ান, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুদ্দি খালেদ, মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ও প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের ভাই মো. এরশাদুল আমীন, স্ত্রী কামরুন নেছা, ছেলে মো. ফয়সাল আমীন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য মো. জাবেদ নজরুল ইসলাম, পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম হোসেন ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দীন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রাশেদুল হাসান, ডবলমুরিং থানা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রোকসানা পারভীন, মহানগর আওয়ামী লীগের মোহাম্ম খোরশেদ আলম, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কেবিএম শাহজাহান, দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো.আরিফুল আমীন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী রীগের সদস্য শেখ মোহাম্মদ শফিউল আজম, এনায়েত বাজার আওয়ামী রীগের প্রাথমিক সদস্য আহমেদ ফয়সাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেহানা বেগম রেনু ও ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল ফজল কবির আহমেদ।