দেশে প্রথমবারের মতো হেলমেট উৎপাদন শুরু করল আরএফএল
মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে উন্নতমানের হেলমেট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো মোটরসাইকেল হেলমেট বাজারে এনেছে আরএফএল গ্রুপ।
নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের কারখানায় তৈরি হচ্ছে এই হেলমেট।
কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজার পিসের বেশি। প্রাথমিকভাবে এ কারখানায় প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বাজারে আরএফএলের উৎপাদন করা দুই ধরনের হেলমেট পাওয়া যাবে। হাফ-ফেস হেলমেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১,৪০০ টাকা এবং ফুল-ফেস হেলমেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২,২৫০ টাকা।
বর্তমানে দেশে হেলমেটের বার্ষিক বাজার ৫০০ কোটি টাকার ওপরে।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রায় সব হেলমেটই আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত হেলমেটের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে ভারত থেকে, বাকি ৪০ শতাংশ আসে চীন থেকে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হলে 'সেফমেট' ব্র্যান্ডের হেলমেটের মোড়ক উন্মোচন করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরএন পাল বলেন, হেলমেট বাইকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বাইকার ও পিলিয়ন আরোহীদের জন্য হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। আর্থসামাজিক অবস্থা, জীবনযাত্রার পরিবর্তনসহ নানা কারণে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একই কারণে হেলমেটের চাহিদাও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যেসব হেলমেট পাওয়া যায় সেগুলো প্রায় সবই আমদানি করা। আর আমদানি করা বেশিরভাগ হেলমেটই মানসম্পন্ন নয়। সেফমেট হেলমেট বিএসটিআই-এর সনদপ্রাপ্ত। বাংলাদেশে একমাত্র সেফমেটই বিএসটিআইয়ের সনদ পেয়েছে।
আরএন পাল বলেন, যাত্রার সময় প্রত্যেকেরই মানসম্পন্ন হেলমেট ব্যবহার করা উচিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরএফএল হেলমেট ব্যবসা শুরু করেছে। এই ব্যবসায় প্রবেশের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে উচ্চমানের হেলমেট সরবরাহ করা।
অনুষ্ঠানে ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম বলেন, সেফমেট হেলমেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি উন্নত এবিএস শেল ও পিসি উপাদান দিয়ে তৈরি। এতে উচ্চমানের বেল্ট ও লকিং সিস্টেম রয়েছে। তাছাড়া ব্যবহারকারীর আরাম নিশ্চিত করার জন্য উন্নত বায়ুচলাচল ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেফমেট হেলমেট রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তৌকিরুল।