তারেকের ৯ বছরের কারাদণ্ড, জোবায়দার ৩ বছর
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/08/02/273204657_486013603094817_544357621653831186_n.jpg)
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তারেকের সহযোগী হিসেবে তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড হয়।
বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস সাজা ভোগ করতে হবে। অপরদিকে জোবায়দা রহমানকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩৫ লাখ জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে তাকে আরও ১ মাস সাজা ভোগ করতে হবে।
সেই সঙ্গে তারেক-জোবায়দা দম্পতির অপ্রদর্শিত সম্পদ হিসেবে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়, তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা কোন আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি মামলায় রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় তার। তবে, জোবায়দার এটি প্রথম ও একমাত্র মামলার রায় বলে জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই মামলাটি হয় ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলা দায়ের করে। তখন তারেক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উৎস থেকে অর্জিত ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ তাদের বৈধ উৎস থেকে অর্জন প্রমাণে ভিত্তিহীন রেকর্ড ও বক্তব্য উপস্থাপনে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সাবেক উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলার ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। গত ২৭ জুলাই দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন।