তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বৈশাখের শুরুতে তীব্র তাপ প্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে হাসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা রয়েছে ২৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, "চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাই বৈশাখের শুরুতেই গরমে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে। তাপমাত্রা গত তিনদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।"
মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড– জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। তার আগে এদিন দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ।
সোমবার চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতা ছিল ৫০ শতাংশ।
তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়তে পারে। তাপমাত্রা ও আদ্রতা বাড়তে থাকলে জনজীবন অসহনীয় হয়ে পড়বে।
এরমধ্যেই হঠাৎ জেলায় গরম বেড়ে যাওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল অনেক কম। রাস্তা দিয়েও যেন গরমের ভাপ উঠছে। তীব্র গরমে গা জ্বালা করছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অনেকে গাছতলায় শুয়েবসে থাকছে।
চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিশ্বাস বলেন, বৈশাখের গরমে হাঁপিয়ে উঠছি। অনেক কষ্ট হচ্ছে বাইরে যেতে। কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শঙ্করচন্দ্র গ্রামের সৈকত হাসান বলেন, রাস্তা থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। পানি পান করেও যেন তৃঞ্চা মিটছে না। ঘরের বাইরে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
দামুড়হুদা মাদ্রাসাপাড়ার রিক্সাচালক কাসেম আলি জানান, সূর্যের যে তাপ বলে বোঝানো যাবে না। রাস্তায় মানুষ না থাকলে ভাড়া কিভাবে হবে! গরমে গাছের নিচে বসে বসে সময় পার করছি।