৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব পাস পাকিস্তান সিনেটে
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তবে আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দেশটির সিনেটে নির্বাচন পেছানোর একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।
নির্বাচনের পেছানোর প্রস্তাব পাসের ক্ষেত্রে শীতকালীন আবহাওয়া ও নিরাপত্তা শঙ্কাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ডন ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রস্তাব পাসের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে সিনেট প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও দেশটির নির্বাচন কমিশনের সেটি মানার বাধ্যবাধকতা নেই। সেক্ষেত্রে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারিই নির্বাচন হবে, না আরও বিলম্বিত হবে সেটি ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন।
দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের একজন স্বতন্ত্র সিনেটর মূলত নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাবটি তুলেছিলেন। স্বতন্ত্র সিনেটর দিলাওয়ার খান বলেন, 'রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়ায় এবং রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।'
রেজল্যুশনে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচনী সমাবেশের জন্য নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
এর আগে দেশটির জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল-এর প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান গত সোমবার যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি-না সেটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানসহ এর মিত্র দলগুলোর ৯০ শতাংশ নেতাই বাদ পড়েছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সিনেটর আফনানউল্লাহ এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, "দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আসলেই ভালো নয়। কিন্তু ২০০৮ ও ২০১৩ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। তবুও তখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।"