নির্বাচনের অর্থ যোগাতে বিচারকদের বেতন কাটার প্রস্তাব পাক প্রধান বিচারপতির
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) তিনি সহ অন্য বিচারকদের বেতন কর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন যাতে ওই অর্থ ব্যবহার করে সারাদেশে নির্বাচনের মতো 'গুরুত্বপূর্ণ কাজ' সম্পন্ন করা যায়। খবর দ্য ডন-এর।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির সাধারণ নির্বাচন আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিআই'র করা পিটিশনের উচ্চ আদালতের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন বান্দিয়াল।
প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি ইজাজুল আহসান, বিচারপতি মুনিব আখতার, বিচারপতি আমিনুদ্দিন খান ও বিচারপতি মানডোখাইলের সমন্বয়ে তৈরি বড় একটি বেঞ্চ এ পিটিশনের শুনানিতে রয়েছেন।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি এবং অর্থ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের অভাবের কথা বলে গত ২২ মার্চ দেশটির নির্বাচন কমিশন পাঁচ মাসের বেশি সময়ের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেছে।
কমিশনের এ সিদ্ধান্তাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে পিটিআই।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'আমরা ব্যাপারটা নিয়ে অপ্রয়োজনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না।' তিনি বলেন আদালতের সামনে খুব সাধারণ একটা প্রশ্ন রয়েছে: নির্বাচনের তারিখ কি প্রলম্বিত করা যাবে নাকি না?
'যদি নির্বাচন স্থগিত করার কর্তৃত্ব নির্বাচন কমিশনের থাকে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আর কিছু করার অবকাশ নেই,' বান্দিয়াল বলেন।
এ সময় পাকিস্তান সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া না করে দেশের জনগণের কথা ভাবারও আহ্বান করেন তিনি।
নির্বাচনের তহবিল সম্পর্কে বিচারপতি আহসান বলেন, 'সরকার ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৫০০ বিলিয়ন রুপি আয়কর সংগ্রহের কথা জানিয়েছে… আশ্চর্যজনক হলো, তারা সেখান থেকে নির্বাচনের জন্য ২০ বিলিয়ন রুপি দিতে পারছে না।'
নির্বাচন পরিচালনার অর্থসংক্রান্ত আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি তার নিজের ও অন্য বিচারকদের বেতন থেকে অর্থ কর্তনের প্রস্তাব করেন।
'বিচারকদের বেতনের অংশ থেকে ২০ বিলিয়ন রুপি সংগ্রহ করা সম্ভব,' মন্তব্য করেন তিনি।
পাকিস্তানের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের জন্য আত্মত্যাগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, 'বেতনের পাঁচ শতাংশ কর্তন নির্বাচনের খরচ মেটাতে পারবে।'