সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাই ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন অনিবন্ধিত ওষুধ!
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম। এসময় হাসপাতাল গেটের সামনে অবস্থিত তিনটি ফার্মেসি থেকে চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ঔষধ জব্দ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আগ্রাবাদে কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় যাই। এসময় তিনটি ফার্মেসি থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ঔষধ জব্দ করা হয়। ফার্মেসি মালিক ও রোগীর স্বজনরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানান, সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররাই এসকল অনিবন্ধিত ঔষধ প্রেসক্রাইব করছেন। হাসপাতালের আশপাশের ৩/৪টি ফার্মেসি ব্যতীত অন্য কোথাও এসব ওষুধ পাওয়া যায় না।"
ফার্মেসি মালিকদের বরাতে প্রতীক দত্ত বলেন, "প্রতিটি বিদেশি ক্রিমের দাম এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয় এসব ফার্মেসিতে। প্রতি ক্রিম প্রেসক্রাইব করা চিকিৎসককে দিতে হয় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন।"
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান সরেজমিন তদন্তে দেখা গেছে, এই হাসপাতালের সকল রোগীদের 'মেডিলিভ' নামক একটি ল্যাবে টেস্ট করানোর জন্য বলে দেয়া হয়। হাসপাতালের সামনেই দালালরা দাঁড়িয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-এর সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, "জব্দ করা ওষুধগুলো ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের নিবন্ধিত নয়। এগুলো কোন ফার্মেসিতে বিক্রি করা যাবে না এবং কোন ডাক্তার এগুলো প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। কিন্তু এই সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা কেন এসব প্রেসক্রিপশনে লিখছেন, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।"
অভিযুক্ত ফার্মেসিগুলো হলো- মা ফার্মেসি, মা মেডিকেয়ার এবং স্বাগতা ফার্মেসি। এদের প্রত্যেক ফার্মেসি মালিককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।