আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, 'উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।'
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।'ৱ
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।'
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।'
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।'
মোমেন বলেন, 'আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।'