অর্ধেক শাস্তি কমার পরও অসন্তুষ্ট উমর আকমল
তিন বছরের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করে ভালোই খবর মিলেছে উমর আকমলে। পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের শাস্তি অর্ধেক কমে গেছে। দেড় বছর পরই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত থাকবে আকমলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।
শাস্তি অর্ধেক কমে গেলেও ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান অবশ্য সন্তুষ্ট নন। কীভাবে শাস্তি আরও কমানো যায়, সেই রাস্তা খুঁজবেন বলে জানিয়েছেন উমর আকমল।
বুধবার আপিলের রায় ঘোষণার পর উমর আকমল বলেন, 'আমার আইনজীবীদের কথা যথাযথভাবে শোনার জন্য মাননীয় বিচারকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। শাস্তির বাকিটা নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব এবং আরও কমানোর চেষ্টা করব।'
'এখনও আমি সন্তুষ্ট নই এবং আমার আইনজীবী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলব, কীভাবে সামনে এগোতে পারি। আগেও অনেক ক্রিকেটার আমার মতো ভুল করেছে। দেখুন, তারা কতটা শাস্তি পেয়েছে, আমি কতটা। আপাতত সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরুর আগে দুবার স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও পিসিবিকে কিছু জানাননি উমর আকমল। তার বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগও আনা হয়। এ কারণে গত ২০ মার্চ আকমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ তোলে পিসিবি।
এরপর এপ্রিলে অপরাধ মেনে নেওয়ায় তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন উমর আকমল। শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলে তখন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মে মাসে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার।
গত ১৪ জুলাই আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও রায় ঘোষণা করা হয়নি তখন। নিজস্ব ক্ষমতা বলে রায় ঘোষণার জন্য সময় নিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক। বুধবার রায় ঘোষণা করা হলো।
অর্ধেক শাস্তি কমালেও উমর আকমলের আইনজীবীরা তুলে এনেছেন পেছনের কিছু ঘটনার উদাহরণ। একই ধরনের অভিযোগে পাকিস্তানের দীর্ঘদেহী পেসার মোহাম্মদ ইরফান ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন। স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজকে মাত্র ২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
এ কারণেই দেড় বছর শাস্তি কমলেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি উমর আকমল। যদিও তার শাস্তি ঘোষণার সময়ই জানানো হয়েছিল, অপরাধ করেও আকমলের মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা না যাওয়ায় তুলনামূলকভাবে তার শাস্তি বেশি হয়েছে।
১১ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক বিতর্কের সঙ্গে আকমলের নাম জড়িয়েছে। অন্যান্য সময় বেঁচে গেলেও এবার বড় শাস্তির খড়্গে পড়তে হয়েছে তাকে। পাকিস্তানের হয়ে ১৬ টেস্ট, ১২১ ওয়ানডে ও ৮৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আকমল। তিন ফরম্যাটে ৫ হাজারেরও বেশি রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে দুটি ও টেস্টে একটি সেঞ্চুরি করেছেন আকমল।