মুঠোফোন হারানোর ঘটনায় ধামরাইয়ের পার্কে শিক্ষার্থী-কর্মচারী সংঘর্ষ, আহত ৫০
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/11/21/beating.jpg)
ঢাকার ধামরাইয়ের একটি বিনোদন কেন্দ্রে মুঠোফোন হারানোকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও পার্ক কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের সিতি এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র আলাদীনস পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরের বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ১২টি বাসে করে সকালে পার্কটিতে পিকনিকে যান। দুপুরে কয়েকজন শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসলের আগে পার্কের লকারে ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ জমা রাখেন। কিন্তু গোসল শেষে তারা দেখতে পান, লকার থেকে তাদের মূল্যবান সামগ্রী হারিয়ে গেছে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্ক কর্তৃপক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় তখন বিষয়টি মীমাংসা হলেও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে কিছু শিক্ষার্থী ক্ষোভে পার্কের চেয়ার ও জানালার কাচ ভাঙচুর করে। এতে পার্ক কর্মচারীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়নি।
উভয় পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলাম মাহফুজ অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীরা পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় পার্কের কর্মচারীরা তাদের ওপর রড দিয়ে হামলা চালায়, এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন।
তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পার্কের সুপারভাইজার শরীফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা লকারের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীকে মারধর করেছে এবং পার্কের চেয়ার, জানালার কাচ ও মেইন গেটে ভাঙচুর চালিয়েছে। এসময় পার্কের কর্মচারীরা তাদের থামাতে গেলে উল্টো শিক্ষার্থীরাই হামলা চালায়।
তিনি আরও দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা পার্কের বাইরে কয়েকটি অটোরিকশাও ভাঙচুর করে, যার জেরে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।