মহামারীতে ব্যাপকহারে রোবট চালু করার কথা ভাবছেন ‘সোফিয়া’র নির্মাতারা
২০১৬ সালে উন্মোচিত হওয়ার পর থেকে রোবট নারী 'সোফিয়া'র ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। সংস্থাটির নতুন দৃষ্টি এখন বছরের শেষ নাগাদ রোবটের গণ-উৎপাদনে।
হংকং-এ অবস্থিত হ্যানসন রোবোটিকস বলেছেন, সোফিয়াসহ চারটি মডেল ২০২১ সালের প্রথমার্ধেই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে। গবেষকরা মনে করছেন, রোবোটিক্স শিল্পের জন্য এক নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবে এই মহামারী।
রোবট নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড হ্যানসন বলেছেন, "কোভিড-১৯ এর সময়ে বর্তমান বিশ্বের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে হলে আরও অনেক বেশি অটোমেশনের দরকার।"
হ্যানসন বিশ্বাস করেন, মহামারীর রোবোটিক সেবা শুধু স্বাস্থ্যখাতেই সীমাবদ্ধ নয়, শিল্পায়নের ক্ষেত্রেও, যেমন খুচরা ও বিমান সংস্থাগুলোর গ্রাহকদের সহায়তা করতে পারে।
"সোফিয়া এবং হ্যানসন রোবটগুলো মানুষের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি হওয়ায় তা স্বতন্ত্র।"
তিনি আরও যোগ করেন, "মহামারী যেখানে মানুষকে একাকী এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সেখানে রোবটের ব্যবহার অনেকখানি কার্যকরী হবে।"
কোনো একটি নির্দিষ্ট নম্বর নয়, তবে ছোট বড় মিলিয়ে হাজার হাজার রোবট ২০২১ সালে বিক্রির লক্ষ্য হ্যানসন রোবটিক্সের।
সোফিয়ার সঙ্গে কাজ করা সামাজিক রোবোটিক্সের অধ্যাপক জোহান হুরন বলেছেন, প্রযুক্তির দিক দিয়ে দূর্বল হলেও,চলমান মহামারী মানুষ এবং রোবটের মধ্যকার সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবার জন্য তৈরিকৃত 'গ্রেস' নামের একটি রোবট এবছর চালু করবে হ্যানসন রোবটিক্স।
অন্যান্য বড় শিল্পক্ষেত্রগুলোও মহামারীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছে। সফটব্যাঙ্ক রোবোটিক্সের 'পেপার রোবট',মাস্ক অব্যবহারীকারীদের সনাক্ত করতে পারে। চীনে, উহানের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় একটি রোবট চালিত ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনে সহায়তা করেছিল রোবোটিক্স সংস্থা ক্লাউডমাইন্ডস।
মহামারীর আগে রোবটের ব্যবহার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেল অব রোবটিক্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সেবাদানকারী পেশাদার রোবটগুলোর বিশ্বব্যাপী বিক্রয় ইতিমধ্যে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৩২% লাফিয়ে ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
অনেকেই মনে করছেন,এরকম সংবেদনশীল ভূমিকায় রোবট রাখার বিষয়ে আরেকটু সতর্ক হওয়া উচিৎ।