আবাহনীর হ্যাটট্রিক শিরোপা
এক রাউন্ড বাকি থাকতেই শিরোপা নিষ্পত্তির ব্যাপারে ধারণা মিলেছিল। আবাহনী লিমিটেড অথবা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব; যে কারও মাথায় উঠবে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। শেষ রাউন্ডে এই দুই দলেরই দেখা হলো। লড়াই হলো জম্পেশ, কিন্তু শেষ হাসি উঠলো আবাহনীর মুখে। তুমুল উত্তেজনার ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুললো আবাহনী।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে আবাহনী-প্রাইম ব্যাংকের মধ্যকার ম্যাচটি ছিল অঘোষিত ফাইনাল। রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে প্রাইম ব্যাংককে ৮ রানে হারিয়েছে আবাহনী। ঢাকার শীর্ষ লিগটিতে সর্বোচ্চ ২১বারের মতো শিরোপা জিতলো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
একটা সময় অবশ্য শিরোপা হারানোর ভয়ে পড়ে গিয়েছিল আবাহনী। বল-রানের বেশ ব্যবধান থাকলেও ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে প্রাইম ব্যাংককে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন অলোক কাপালি। যদিও তার লড়াই শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ১৭ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় করা হার না মানা ৩৪ রান কেবল দলের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তোলে লিগের সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দলটি। জবাবে প্রাইম ব্যাংকের রুবেল মিয়া ও অলোক কাপালির লড়াইয়ের পরও ৮ রানের ব্যবধান থেকে যায়। ৯ উইকেটে ১৪২ রানে দলটির ইনিংস শেষ হয়।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। দলীয় ২ রানে ওপেনার রনি তালুকদারকে হারানো দলটি কিছুক্ষণ পর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়কেও হারায়। রুবেল মিয়া একপাশ ধরে রেখে খেলে যান।
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া বিজয় ১৩, নাহিদুল ১০ ও নাঈম হাসান ১৯ রান করেন। আবাহনীর হয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা।
এরআগে ব্যাটিং করা আবাহনীর দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও মুনীম শাহরিয়ার কিছুই করতে পারেননি। মুনীম ৩ রান করলেও নাঈম রানের খাতা খুলতে পারেননি। লিটন কুমার দাস ১৯ রান করে আউট হন।
এরপর ৭০ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও সৈকত। শান্ত ৪৫ ও সৈকত ৪০ রান করেন। শেষের দিকে সাইউফদ্দিন ১৩ বলে ২টি ছক্কায় অপরাজিত ২১ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের রুবেল হোসেন ২টি এবং মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।