হাসপাতাল থেকে পেলে বললেন, ‘এখনও আমি প্রতিদিন হাসতে পারছি’
তিনদিনের মাথায় আবারও আইসিউইতে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে; এমন খবরে শঙ্কাই জেগেছিল। কদিন আগের বৃহদান্তের অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে দুবার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে যাওয়ার খবর দুশ্চিন্তাতেই ফেলে দিয়েছিল ফুটবল ভক্তদের। তাদের জন্য স্বস্তির খবর, ভালো আছেন ফুটবলের এই মহানায়ক।
আগের বারের মতো এবার আর বেশি সময় থাকতে হয়নি আইসিউতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাও পাওলোর আইনস্টাইন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সতর্কতার অংশ হিসেবে পেলেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া পেলে ও তার মেয়ে ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, ব্রাজিলের তিনবারের বিশ্বকাপজয়ীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, সতর্কতা থেকে পেলেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে 'সেমি ইনটেনসিভ কেয়ারে' নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'হৃদযন্ত্র ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যার দিক থেকে ভাবলে তিনি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল আছেন।'
নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে পেলে নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। বল হাতে ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, 'প্রিয় বন্ধুরা, আমি এখনও ভালোভাবে সেরে উঠছি। আজ আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে দেখতে এসেছিল এবং এখনও আমি প্রতিদিন হাসতে পারছি। সবার কাছ পাওয়া ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।'
সবচেয়ে বড় স্বস্তি মিলেছে পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তোর পোস্ট করা ছবিতে। বাবার সঙ্গে একটি ছবি তুলেছেন তিনি, যেখানে হাস্যজ্জ্বল পেলেকে দেখা যাচ্ছে। নাসিমেন্তো লিখেছেন, 'তার বয়সী কারও জন্য ধকল কাটিয়ে ওঠার পথে এটা স্বাভাবিক অবস্থাই। এমন একটা অস্ত্রোপচারের পর এমন হয় যে, দুই পা সামনে এগোলে, এক পা পেছাতে হয়। গতকাল তিনি ক্লান্ত ছিলেন, এক পা পিছিয়েছেন। আজ আবার দুই পা এগিয়ে গেলেন।'
শরীরে জটিলতা দেখা দেওয়ার পর চলতি মাসের শুরুর দিকে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে যান পেলে। সে সময় তার বৃহদান্তে টিউমার ধরা পড়ে। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর পেলের শরীরে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
পেলে সব সময়ই নিজের শারীরিক অবস্থা সবার সঙ্গে শেয়ার করেন। গত মঙ্গলবার আইসিইউ থেকে সাধারণ সেকশনে নেওয়ার পর পেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে জানিযেছিলেন, অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আগের মতো করেই বলেছিলেন, 'শুধু ৯০ মিনিটই নয়, প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময়ে খেলতেও প্রস্তুত।'