যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মূল বিষয় 'সেক্সুয়াল ইনটেন্ট': ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
যৌন নির্যাতনের ঘটনা বিবেচনায় সরাসরি ত্বকে স্পর্শ করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেক্সুয়াল ইনটেন্ট বা যৌন উদ্দেশ্য। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রিভেনশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্ডারস (পকসো) আইন নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে এই মন্তব্য করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২ বছরের এক কিশোরীকে পোশাকের ওপর দিয়ে অশালীনভাবে স্পর্শ করার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছাড় দেন বোম্বে হাইকোর্ট। ত্বকে স্পর্শ করা না হলে পকসো আইন অনুসারে তা যৌন নির্যাতন গণ্য করা হবে না বলে রায়ে ঘোষণা দেওয়া হয়।
রায়ে বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা বলেন, 'যৌন অভিপ্রায় নিয়ে সরাসরি শরীরে স্পর্শ' করা হলে তবেই তা যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
বম্বে হাইকোর্টের সেই রায় নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তার আর্জির ভিত্তিতে ২৭ জানুয়ারি রায়ের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট।
আগস্টে মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, "ত্বকে ছোঁয়া না লাগার মানদণ্ডের ফলে সমাজে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে। সার্জিকাল গ্লাভস পরে কোনও মেয়ের ত্বক স্পর্শ করলে কোনও পুরুষকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। পকসো আইনের আওতায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ন্যূনতম শাস্তিও এড়িয়ে যেতে পারবে।"
বৃহস্পতিবার ভারতের শীর্ষ আদালত জানান, বম্বে হাইকোর্টের রায় খারিজ হয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের রায়কে তীব্র অসংবেদনশীল বলে ভর্ৎসনা করা হয়।
এর আগে বম্বে হাইকোর্ট রায় দেন, পোশাক পরিহিত অবস্থায় ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে স্পর্শ করায় সেটি যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। সেই অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন হাইকোর্ট।
- সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস