স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে জিডি
নানা ঘটনায় সমালোচনার মুখে পদ হারানো সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী জাহানারা এহসান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান ডা. জাহানারা। এরপর বিষয়টি জানানো হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশকে। এরপরই পুলিশের একটি টিম মুরাদের বাসায় যায়। পরে পুলিশের সঙ্গে থানায় এসে জিডি করেন জাহানারা।
জিডির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া।
তিনি বলেন, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন তার স্ত্রী।
জিডিতে ডা. জাহানারা উল্লেখ করেন, ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ফারিহা রাজকন্যা (১৬) এবং হাসান আবরার মাহির যুবরাজ (১১) নামে দুই সন্তান রয়েছে। তার স্বামী ডা. মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি কারণে অকারণে ডা. মুরাদ তাকে ও তার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দিচ্ছে তার স্বামী।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ডা. মুরাদ আবারও তাদেরকে গালিগালাজ করে এবং মারধর করার চেষ্টা করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে ধানমন্ডি থানার পুলিশ বাসায় পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তার স্বামী।
ডা. জাহানারা জানান, সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তার স্বামী যে কোনো মুহূর্তে তাকেসহ তার সন্তানদের ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়িকাকে টেলিফোনে হুমকি আর অশালীন বক্তব্যের ভিডিও ফাঁস হলে সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রীর পদ হারাতে হয় ডা. মুরাদ হাসানকে। একই সময়ে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নানা নাটকীয়তার মধ্যে ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি। তবে কানাডার বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি। সেখানেও প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফেরেন মুরাদ। এরপর থেকে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন।