নতুন চোটে বিপিএলের শুরুর কয়েক ম্যাচে অনিশ্চিত মাশরাফি
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) সামনে রেখে দীর্ঘদিন পর অনুশীলনে ফেরেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। যদিও তার অনুশীলন পর্ব ভালো যায়নি। শুরুর দিনই অস্বস্তিতে দেখা যায় তাকে। পিঠের ব্যথার কারণে সেদিন বোলিং করতে পারেননি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে কয়েকদিন বিশ্রামে থাকেন ওয়ানডের সফলতম অধিনায়ক। বিশ্রাম শেষে মাঠে ফেরার দ্বিতীয় দিনে নতুন চোট পেয়েছেন মাশরাফি।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বোলিং করার সময় কোমড়ের নিচের অংশে (গ্লুটস) চোট পেয়েছেন মাশরাফি। প্রচন্ড ব্যথায় এরপর আর বোলিং করেননি তিনি। দলের ফিজিও, ট্রেনারদের চোটের অবস্থার কথা জানিয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। এই চোটে বিপিএলের শুরুর দিকে ম্যাচগুলো তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কয়েকটি ম্যাচে তাকে ছাড়াই খেলতে হতে পারে মিনিস্টার ঢাকাকে।
পিঠের ব্যথার জন্য ইনজেকশন নিয়ে ফল পেয়েছেন মাশরাফি। অবস্থা ভালো হওয়াতে আজ লম্বা রান আপে বোলিং শুরু করেন। কিন্তু দুই-একটি ডেলিভারির পরই থামতে হয় তাকে। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মাশরাফি বলেছেন, 'ইনজেকশন নেওয়ার পর অনেকটাই কমে গিয়েছিল পিঠের ব্যথা। আজ বেশ ভালো অনুভব করছিলাম। এ কারণেই পুরো রান আপে বোলিংয়ের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু এবার গ্লুটসে টান লেগে গেল। তার পরও চেষ্টা করেছি, কিন্তু প্রচণ্ড ব্যথায় আর পারিনি।'
শুরুর কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। মাশরাফি বলেন, 'চোটের অবস্থা এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। দুই-একদিন গেলে আরেকটু পরিষ্কার হবে। প্রথম ম্যাচ হয়তো আমি এমনিতেই খেলতাম না, ভালোভাবে অনুশীলন করে তারপর নামতাম। এখন শুরুর দুই-একটি ম্যাচ খেলতে পারব না বলে মনে হচ্ছে।'
ঢাকার ফিজিও এনামুল হক জানিয়েছেন, মাশরাফিকে নিয়ে ঢাকা ঝুঁকি নেবে না। তিনি বলেন, 'কোমড়ে ব্যথা থাকায় বোলিং করেননি মাশরাফি। তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তার খেলা না খেলা নির্ভর করছে ব্যথা মুক্ত হওয়ার ওপর, ফিট থাকার ওপর। এক্ষেত্রে প্রথম দুই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। ব্যথামুক্ত হওয়ার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।'
মঙ্গলবার বিসিবি একাডেমি মাঠে শুরুতে কিছুক্ষণ ওয়ার্মআপ করেন মাশরাফি। এরপর তামিম ইকবালকে বোলিং শুরু করেন। শর্ট রান আপে ধীরে ধীরে কিছুক্ষণ বোলিং করার পর লং রান আপে বোলিং করার চেষ্টা করেন। লং রান আপে বোলিং করতে গিয়ে পারেননি। প্রথমবার বল ছুড়তে পারলেও পরের দুইবার পারেননি। এরপর মাঠে শুয়ে পড়েন মাশরাফি।
মাশরাফির লং রান আপে বোলিং করা নিয়ে এনামুল বলেন, 'আসলে নো বল বোঝার জন্য লং রান আপে বোলিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন মাশরাফি। কিন্তু ব্যথা থাকায় শেষ পর্যন্ত আর পারেননি।'
মাশরাফি সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে জেমকন খুলনার হয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেন অভিজ্ঞ এই পেসার। এরপর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা হয়নি তার। বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণ দিয়ে ফেরার কথা থাকলেও পিঠের ব্যথার কারণে খেলতে পারেননি মাশরাফি। এবার বিপিএলেও তার খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগলো।