তামিম-শাহজাদের পর মাহমুদউল্লাহর খুনে ব্যাটিং
একই উইকেটে ব্যাটিংয়ের কতোটা পার্থক্য! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১২৫ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে এই রান তুলতে বেগ পেতে হয় ফরচুন বরিশালকেও। দ্বিতীয় ম্যাচে একই উইকেটে রানের ফোয়ারা বইয়ে দিল মিনিস্টার ঢাকা।
তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ শাহজাদ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়েছে ঢাকা। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছে দলটি। দারুণ শুরুর পর রান আউটে কাটা পড়েন শাহজাদ। হাফ সেঞ্চুরি করা তামিমের ব্যাটে এগিয়ে যায় দল। আর শেষে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে রান বাড়িয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ।
ঢাকার শুরুটা হয় দাপুটে। তামিমকে এক পাশে রেখে মারকুটে মেজাজে খেলে যেতে থাকেন দলটির আফগান ওপেনার শাহজাদ। তামিম এ সময় কেবল সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। শাহজাদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.১ ওভারে ৬৯ রান পায় ঢাকা। এ সময় রান আউট হয়ে থামতে হয় শাহজাদকে। ফেরার আগে ২৭ বলে ৮টি চারে ৪২ রান করেন শাহজাদ।
এরপর শাহজাদের ভূমিকায় নাম লেখান তামিম। নাঈম শেখকে এক পাশে রেখে ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন তামিম-নাঈম। এর মাঝে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। দলীয় ১০০ পেরিয়ে আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ৭টি চারে ৫০ রান করেন তিনি।
নাঈম বেশি সময় টিকতে পারেননি, ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৭ রান করা আন্দ্রে রাসেল অদ্ভুত রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান। জহুরুল ইসলাম অমিকে নিয়ে কিছুটা পথ পাড়ি দেন মাহমুদউল্লাহ। জহুরুল ১২ রান করে ফেরার পর শুভাগত হোমকে নিয়ে তাণ্ডব চালান মাহমুদউল্লাহ।
ঢাকার অধিনায়ক ২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রানের খুনে ইনিংস খেলেন। শুভাগত ৪ বলে ৯ রানে এবং ইসুরু উদানা ২ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনা টাইগার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। একটি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা।