ট্র্যাক থেকে হাসপাতালে তারকা হার্ডলার সুমিতা
তাকে বলা হয় বাংলাদেশের হার্ডলসের রানী। ট্র্যাকে নামলেই রেকর্ড করেন সুমিতা রানী। ইনজুরির কারণে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। গত জানুয়ারিতে ৪৪তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ইনজুরির কারণেই ট্র্যাকে নামতে পারেননি তারকা এই হার্ডলার।
ইনজুরি কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস দিয়ে চিরচেনা জায়গায় ফিরেছিলেন সুমিতা। লক্ষ্য ছিল ১০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণপদক পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু তা আর করা হলো না নোয়াখালীর মাইজদীর এই হার্ডলারের। ট্রাকে নেমে দৌড়ই শেষ করতে পারেননি তিনি, ৩০ মিটার দৌড়েই পড়ে যান। তৃতীয় হার্ডলসে পা লেগে ট্র্যাকে লুটিয়ে পড়েন সুমিতা।
ট্র্যাকে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের গোড়ালিতে বেশ চোট পেয়েছেন ২৯ বছর বয়সী বাংলাদেশ জেলের এ অ্যাথলেট। দুই হাত, হাঁটু ও মুখ ছিলে গেছে তার। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সুমিতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর বকশিবাজারে বাংলাদেশ জেলের ক্যাম্পে রাখা হয়েছে তাকে।
এতোদিন পর ট্র্যাকে ফিরে এভাবে ছিটকে যাওয়াটা কিছুতেই মানতে পারছেন না সুমিতা। তিনি বলেন, 'আমার ভাগ্যটাই খারাপ। ইনজুরির কারণে সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে পারিনি। সর্বশেষ বাংলাদেশ গেমসে আমার স্বর্ণ ছিল। ৮ বছর আগে পাওয়া স্বর্ণ আমি আবার জিতব; এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার, দৌড়ই শেষ করতে পারলাম না।'
জাতীয় ও সামার অ্যাথলেটিক মিলিয়ে মোট ১৫ বার স্বর্ণপদক জিতেছেন সুমিতা। বাংলাদেশ গেমসের সর্বশেষ আসরে ২০১৩ সালে ১০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ গেমস দিয়েই শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের মিশনে ট্র্যাকে নেমেছিলেন কৃতী এই রানী হার্ডলার। কিন্তু স্বর্ণ জয় করা তো হলোই না, উল্টো ইনজুরির ছোবলে মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হলো তাকে।