সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত এলেন আরও ১৬০ বাংলাদেশি
আট মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন সিলেটের আবু বক্কর। স্বপ্ন ছিল অনেক। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হল তাকে। কাজের বৈধ অনুমোদন (আকামা) থাকা সত্ত্বেও সেদেশের পুলিশ তাকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে, এমনটাই জানালেন আবু বক্কর।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানযোগে বক্করের মতো দেশে ফিরলেন আরও ১৬০ বাংলাদেশি। আর এ নিয়ে গত তিন দিনে সৌদি আরব থেকে দেশে-ফেরাদের সংখ্যা এখন ৩৮৯।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান ইউএনবিকে তথ্যটি জানান। তারা অনেক দিন ধরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কাজ করছেন।
আগের দিনের মতো এবারও দেশে-ফেরা এই প্রবাসীদের সহযোগিতা করেন তারা। বিমানবন্দরের ওয়েজ অনার্স কল্যাণ ডেস্কের সাহায্যে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের স্টাফরা বিমানবন্দরে এই প্রবাসীদের খাবারের ব্যবস্থা করেন। তারপর তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেন তারা।
চাঁদপুরের জামালও ফিরে এসেছেন মঙ্গলবার রাতে। জানালেন, সাড়ে চার হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা করেছিলেন তিনি। অথচ মাত্র দু’মাসের মাথায় ফিরতে হল তাকে। তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাকে আটক করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
পটুয়াখালীর বায়জিদ, মানিকগঞ্জের আবু সাইদ, মাদারীপুরের নাসিম, কুমিল্লার জামাল, মুন্সিগঞ্জের মিজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিপু সুলতান, মাদারীপুরের সিরাজ, কুষ্টিয়ার জহুরুলসহ ১৬০ বাংলাদেশির সবার অভিযোগ একই ধরনের।
দেশে-ফেরারা সবাই বলছেন, বৈধ আকামা রয়েছে সবারই। কিন্তু জোর করে ওদের ধরে জেলে কিছুদিন আটকে রাখছে সেখানকার পুলিশ। তারপর দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।
কিছু কর্মী এমন অভিযোগও করেছেন যে, কফিল (মালিক) আকামা নবায়ন করেনি; কারও কারও বক্তব্য, তাদের কফিলরা আকামা বাতিল করে দিচ্ছেন।
কিন্তু সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ ফেরত আসা কর্মীদের। তারা আশঙ্কা করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল জানান, গত নয় মাসে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।