সোম ও মঙ্গলবার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘট ঘোষণা
কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ সংশোধনের দাবিতে সোম ও মঙ্গলবার, দুই দিনের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
নয় দফা দাবিতে রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সুলতান হোসেন খান এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।
ধর্মঘটের ফলে এই দুইদিন দেশে কোনো আমদানি পণ্য খালাস হবে না।
তিনি বলেন, "আমরা নিশ্চিত করব, সারাদেশের সমস্ত কাস্টমস হাউস এবং স্টেশনগুলোতে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ধর্মঘটের কারণে দেশের অর্থনীতিতে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে তার জন্য সংগঠন কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না।"
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্সধারীরা তাদের উত্তরাধীকারের কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর করতে পারবে না বলে ২০২০ সালের আইনের একটি ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধারাটিরই তীব্র বিরোধীতা করে এটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।
বিদ্যমান অনুযায়ী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স পেতে হলে প্রার্থীকে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতায় ন্যূনতম ডিগ্রি পাশ থাকতে হবে। তাই একজনের লাইসেন্স আরেকজনকে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে সংগঠনটির নেতারা একে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হিসেবে দেখছেন। কারণ এই লাইসেন্সকে তারা ট্রেডিং ব্যবসার স্বীকৃতি মনে করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন জানিয়েছেন, "জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাদের এই লাইসেন্সটিকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গে তুলনা করছেন। তারা আমাদের ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। অথচ এই খাতে আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে এবং সেই সঙ্গে আমরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।"
এছাড়া, সংগঠনটি আইনের আর যেসব ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোনো আমদানিকারকের শুল্ক বকেয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স নবায়ন না করার ধারা, শুল্ক কর পাওনা থাকলে এজেন্ট লাইসেন্স বাতিলের ধারা, দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন কোনো কোম্পানিকে লাইসেন্স না দেওয়া, মিথা ঘোষণায় পণ্য আমদানিতে এজেন্টকে দায়ী করা এবং জরিমানা করা ইত্যাদি।
সুলতান হোসেন খান বলেন, "আমরা পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করি না। শুধু কমিশনের ভিত্তিতে সরকার এবং ব্যসায়ীদের মধ্যে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করি। তাই তাদের কোনো অনিয়মের জন্য আমাদেরকে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না।"
এর আগে ২০২২ সালের ৭ জুন, সংগঠনটি এসব দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছিল। এরপর রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের আইন সংশোধনের আশ্বাসে ওই কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। কিন্তু এরপর দাবি আদায়ে আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
"এর আগে আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছি। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দলনে থাকবো," যোগ করেন সুলতান হোসেন।