প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে মলডোয় পঞ্চম দফার চীন-ভারত বৈঠক
ইন্দো-চীন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ফের আলোচনায় বসছে দুই দেশ। বিতর্কিত এলাকা থেকে সরে আসার যে প্রক্রিয়া, সেটা শেষ করতেই এই কূটনৈতিক উদ্যোগ। গত রোববার ভারতীয় সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে দেশটির গণমাধ্যম এ সংবাদ জানিয়েছে। এদিন ১১টা নাগাদ মলডোয় কমান্ডার পদের এই বৈঠক হয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীন ভূখণ্ডে হয়েছে এ বৈঠক।
গত মার্চ মাসের পর থেকে এটি পঞ্চম বৈঠক। যে বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নির্দিষ্ট দূরত্বে সরতে আলোচনা হয়েছে দু'পক্ষের।
এদিকে, লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে দুই দেশের তরফ থেকেই সহমত হয়ে বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতোপূর্বে বৃহস্পতিবার ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে অভিযোগ করা হয় যে, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পুরোপুরি সেনা সরায়নি চীন। যদিও, বুধবার, চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, দুই দেশের তরফ থেকেই নিজ নিজ সেনাবাহিনীকে গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিংস এবং কনকা পাস ও পাংগং হ্রদ এই তিনটি জায়গা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
এরপর চীনের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। তিনি এপ্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন যে, সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই দেশই সম্মতি দিলেও- এখনও পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হয়নি। চীন এখনও তাদের সব সেনা সরায়নি বলেই অভিযোগ করেন তিনি।
ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় অনুরাগ শ্রীবাস্তব আবারও দু'দেশের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে একথাও মনে করিয়ে দেন যে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার উপরই নির্ভর করছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
অথচ দু'দিন আগেই চীনের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, সীমান্তের বেশিরভাগ জায়গায় বিতর্কিত অংশ থেকে দুই দেশের পক্ষ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হয়েছে। চীন আরও বলে যে স্থলভাগে পরিস্থিতি ক্রমশই স্বাভাবিক হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, প্রয়োজনে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সামরিক কর্তারা খুব তাড়াতাড়ি আরও একবার বৈঠক করবেন এবং সেনা সরানোর বিষয়টি সম্পন্ন করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং হবে তা নিয়েও আলোচনা করবেন। তিনি এও বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই বারবার উল্লেখ করেছি যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখাই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি।"