সেমিতে উঠতে ১২.১ ওভারে জিততে হবে বাংলাদেশকে
শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তানের রানচাকায় লাগাম রাখলেও উইকেটের দেখা মিলছিলো না। ১১তম ওভারে গিয়ে প্রতিপক্ষের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বল হাতে বাংলাদেশকে নেতৃত্বে দেওয়া রিশাদ হোসেন। এরপর একে একে আরও ২টি উইকেট তুলে নিলেন এই লেগ স্পিনার। সঙ্গে থাকলো তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানদের অসাধারণ বোলিং। এর মাঝে রহমানউল্লাহ গুরবাজ লড়ে গেলেও আফগানদের অল্প রানেই আটকালো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাইনে শুরু হওয়া সুপার এইটের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১১৫ রান তুলেছে আফগানিস্তান। আরও কম রানে শেষ হতে পারতো তাদের ইনিংস, শেষ দিকে অধিনায়ক রশিদ খানের কল্যাণে এই সংগ্রহ মেলে আফগানদের। সেমি-ফাইনালে উঠতে হলে জিতলেই হবে না, এই রান পাড়ি দিতে হবে ১২.১ ওভারে। আফগানিস্তানের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে কাজটা কঠিন হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের, তবে শেষ চেষ্টায় বাংলাদেশ নিশ্চয়ই সেই পথেই হাঁটবে।
অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন একাদশে ফেরা তাসকিন। ডানহাতি এই পেসারের ডেলিভারি ব্যাটেই লাগাতে পারছিলেন না আফগান ব্যাটসম্যানরা। গতি আর দারুণ সব বাউন্সারে শাসন করে গেছেন তিনি। ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ১২ রানে একটি উইকেট নেন তাসকিন। অবশ্য আরও ভালো বোলিং ফিগার হতে পারতো তার। কিন্তু তার নিজের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারেন রশিদ।
বল হাতে দাপুটে ছিলেন এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডট বল করা মুস্তাফিজুর রহমানও। বাঁহাতি এই পেসার ৪ ওভারে ১৭ রানে নেন একটি উইকেট। তবে আসল কাজটি করেছেন রিশাদ, তার উইকেট শিকারের কারণেই আফগানদের চেপে ধরতে পেরেছেন বাংলাদেশের বাকি বোলাররা। ডানহাতি এই লেগ স্পিনার ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩টি উইকেট নেন। সাকিব ৪ ওভারে ১৯ রান দেন, পাননি উইকেট। খরুচে তানজিম হাসান সাকিব ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকে যান।
আফগানদের পথ দেখানো গুরবাজ ১৭তম ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। ডানহাতি এই ওপেনার ৫৫ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করেন। এর আগে ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। ২৯ বলে একটি চারে ১৮ রান করেন ইব্রাহিম। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১২ বলে ১০ রান করেন। শেষ দিকে বিশাল বিশাল ছক্কায় বাংলাদেশের লক্ষ্য বড় করা রশিদ ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রান করেন, মারেন ৩টি ছক্কা।