৪৫ বছর পর লাদাখ সীমান্তে গুলি, পাল্টা ব্যবস্থা চীনের
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব লাদাখের ভারত-চীন সীমান্ত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সৈন্যরা গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে চীন। অন্যদিকে চীনা সৈন্যরাও দাবি করেছে, এ ঘটনায় পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে তারা। তবে কী সেই পদক্ষেপ সে বিষয়ে তারা কিছু পরিষ্কার করেনি।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
৪৫ বছর পর আবারও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানো হয়েছে। শেষবার চীন সীমান্তে গুলি চলেছিল ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে। নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, সীমান্ত অতিক্রম করে অরুণাচল প্রদেশের তুলুং লা এলাকায় ভারতীয় সেনা টহলদারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায় চীনা সেনারা। সেই ঘটনায় চার ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মধ্যরাতে চীন অভিযোগ করে, ভারতীয় সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ প্রান্তে। চীন সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস সোমবার রাতে লাল ফৌজের পশ্চিম থিয়েটার কম্যান্ডের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলেন, ভারতীয় সেনা ফের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছে শেনপাও পাহাড়ের কাছে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ কূলে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্কতামূলক গুলিও চালায় বলে দাবি করেছে চীনা সেনা। গ্লোবাল টাইমস বলেছে, চীনা সীমান্ত রক্ষীরা বাধ্য হয় পালটা পদক্ষেপ নিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এই ঘটনার আর কোনও বিস্তারিত বিবরণ এখনও মেলেনি। তবে চীন কী ধরনের 'পালটা পদক্ষেপ' করেছে, তা জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত ২৯-৩০ অগস্ট থেকেই প্যাংগংয়ের দক্ষিণ অংশে ঝামেলা শুরু হয়েছে। চীনের 'উস্কানিমূলক' কার্যকলাপ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। তবে নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে যে তারা এলএসি অতিক্রম করেনি। ভারতের পক্ষ থেকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
কয়েকদিন আগেই মস্কোতে রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়েছিল। দশ তারিখ হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক। তার আগেই ফের প্যাংগংয়ে ঝামেলা লাগল। মে মাস থেকেই লাদাখে চলছে দুই পক্ষের মধ্যে অচলাবস্থা। এর মধ্যেই গালওয়ানে ১৫ জুনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় ও অজানা সংখ্যক চীনা সেনা নিহত হন। মাঝে পরিস্থিতি একটু থিতিয়ে গেলেও ফের নতুন করে বিতর্কের আঁচ বাড়ছে।